অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, সময়ঃ ০৫:১৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন। এ নিয়ে এক নির্দেশনায় তিনি সই করেছেন।
শিকাগোর ডেমোক্র্যাট মেয়র জনসন বলেছেন, ‘আমাদের শহরে অসাংবিধানিক ও বেআইনি সামরিক দখলদারির কোনো প্রয়োজন নেই, আমরা তা চাইও না।’ শহরের বিভিন্ন দপ্তরকে সম্ভাব্য অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেখাতে হবে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় দুই হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন। হুমকি দিয়েছেন, শিকাগোতেও সেনা মোতায়েন করা হবে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, গৃহহীন ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের দমনে ট্রাম্প এ উদ্যোগ নিচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিকাগোকে ‘অরাজক শহর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। জানা গেছে, তাঁর প্রশাসন শিকাগোতে বিপুলসংখ্যক ফেডারেল অভিবাসন কর্মকর্তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জনসনের নির্দেশনাকে ‘প্রচারের কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সহিংস অপরাধ ও অভিবাসন ইস্যুতে হোয়াইট হাউস এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের সর্বশেষ ঘটনা এটি।
শিকাগো মেয়রের নির্দেশনায় ফেডারেল বাহিনী মোতায়েন ঠেকানোর পাশাপাশি কিছু বিদ্যমান নগরনীতিও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে আছে পুলিশ সদস্যদের বডিক্যাম ও পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক, মাস্ক পরা নিষিদ্ধ করা।
অন্যদিকে অভিবাসীরা যেন ফেডারেল অভিযানের সময় নিজেদের অধিকার বুঝতে পারেন, সে জন্য শহর কর্তৃপক্ষ সচেতনতামূলক প্রচার বাড়াবে বলে জানিয়েছেন মেয়র জনসন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, স্থানীয় পুলিশ ফেডারেল বাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহল দেবে না।
শিকাগোর স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রতি পাঁচ বাসিন্দার একজন অভিবাসী। তাঁদের অর্ধেকের বেশি লাতিন আমেরিকার দেশ থেকে আসা। তবে এর মধ্যে কতজন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আছেন, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প শিকাগোকে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হয়েও ‘একটি হত্যার ক্ষেত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, শহরের অপরাধ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।