অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৮ নভেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৩:১৭
খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি :-সাভারের আশুলিয়ায় মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের জোন ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের আশুলিয়া পল্লী বিদুৎ শাখার অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
অভিযুক্ত আশিকুর রহমান আশিক দিনাজপুর জেলার আজির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গ্রামে বসবাস করতেন। তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো গ-১৫-২১২১ বলেও জানা গেছে।
এরই মধ্যে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও স্টাফরা তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অবস্থিত আশুলিয়া চক্ষু হাসপাতালের ৪র্থ তলায় দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের শাখা অফিস পরিচালনা করছিলেন আশিক। সেখানে প্রায় ৩৫ জন স্টাফ তার অধীনে কর্মরত ছিলেন।
স্টাফরা অভিযোগ করেন, আশিকুর রহমান ব্যক্তিগত ব্যবসার কথা বলে তাদের কাছ থেকে চেক প্রদান করে বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নেন। হিসাব অনুযায়ী, তিনি মোট প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ৯ নভেম্বর ২০২৫ থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী রিপন আলী জানান—“বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলে আশিক আমার কাছ থেকে মোট ১১ লাখ টাকা নেন।”
ভুক্তভোগী মিম আকতার বলেন—“কখনো ২০ হাজার, কখনো ১০ হাজার করে আমার কাছ থেকে মোট ১ লাখ টাকা নেন।”
স্টাফ এজিএম আব্দুল কাদের বলেন—“ব্যক্তিগত ব্যবসা ও লভাংশ দেওয়ার কথা বলে সকল স্টাফদের কাছ থেকেই বড় অংকের টাকা নিয়েছেন। এসব টাকার হিসাব আমরা কেউ জানি না।”
পূর্ববর্তী অফিস সহকারী মায়া জানান—“আমি ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছি। চাকরি ছাড়ার পরও তিনি আমাকে ডেকে ৫০ হাজার ও পরে ১০ হাজার টাকা ধার নেন।”
দীর্ঘদিনের স্টাফ আমির হোসেন বলেন—“৬ বছর ধরে তার সাথে কাজ করে এসেছি। নানা টার্গেট দিতেন, বলতেন টার্গেট পূরণ করলে লাভ দেওয়া হবে। আমরা গ্রাহকদের থেকে টাকা এনে দিতাম আর তিনি আমাদের চেক দিতেন। বলতেন ডিসেম্বরে সব টাকা ফেরত দেবেন।”
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের একজন ইতোমধ্যে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।