বগুড়ায় প্রতারণার মামলায় সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে


সঞ্জু রায়,বগুড়া:-বগুড়ায় প্রতারণার মামলায় পুলিশের সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান পুলিশের সাবেক এই আলোচিত কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বগুড়া শহরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পেছনে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে ফ্লাট বিক্রয়ের কথা বলে ৬ ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ এক লাখ করে টাকা নেয় অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুলের স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেধা টাওয়ার৷ চুক্তি অনুযায়ী সেখানে দশতালা ভবনও গড়ে তোলে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর শাহজাদী আলম লিপির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে জমির মালিক ওই ছয় ব্যক্তিকে তাদের পাওনা অনুযায়ী ভবনের ফ্লাট বুঝে দিতে তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রতারণার ব্যাপারটি টের পেয়ে গত বছরের ২১ আগস্ট অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন জাহেদুর রহমান তোফা নামের এক ভুক্তভোগী। একই অভিযোগে আদালতে পৃথক আরো দুটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন নূর আলম এবং ফোরকান আলী নামের নামের ভুক্তভোগীরাও। তবে সোমবার তোফার মামলায় আদালতে হাজির হলে বিচারক পুলিশের সাবেক এই প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠায়।
 

একই অভিযোগে মামলা করা বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা নুর আলম জানান, এক সময়ের প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তার এমন প্রতারণায় তারা ৬ থেকে ৭ জন ব্যক্তি অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

 

জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আইন সকলের জন্য সমান তা আবারো প্রমাণিত হলো। তারা শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার পাবেন মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।


প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ নুরুল ইসলাম ওমর, সাবেক এমপি ও বিরোধী দলীয় হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মাক্সুদুল আলম হাওলাদার

নির্বাহী সম্পাদকঃ এম নজরুল ইসলাম

ফোনঃ ০১৭১৭০১৬১৩০

যোগাযোগঃ অফিসঃ সাতমাথা, বগুড়া গাজীপুর অফিসঃ সিলমন, টঙ্গি, গাজীপুর

© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।