অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১০ নভেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৬:০১
পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার:- পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক এক বাস সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নে ভেবরীপাড়ার মোখলেছ মিয়ার কন্যা, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মুক্তা (১৩) রাণীর।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত মাসে বায়েজিদ মুক্তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
জানা যায়, বায়েজিদ তাঁর পেশার সুযোগ নিয়ে যে বাসে সুপারভাইজারের কাজ করেন, সেই বাসেই মুক্তাকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে গাজীপুরের হাটুভাঙ্গায় অবস্থিত তাঁর ফুফাতো বোনের বাসায় ওঠেন। সেখানে মুক্তাকে বায়েজিদ টানা তিন দিন অবস্থান করেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এরপর গত মাসের ২৭ তারিখে মুক্তাকে হাটুভাঙ্গার একটি এলাকায় নামিয়ে দিয়ে বায়েজিদ সুকৌশলে সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তা রাণীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, “বায়েজীদ আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে। আমি ওর উপযুক্ত বিচার চাই।”
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত বায়েজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “মুক্তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। মুক্তাকে আমি ঢাকাতেও নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তাকে ধর্ষণ করি নাই।”
এই ব্যাপারে বায়েজীদের স্ত্রী নাজমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, "আমার স্বামীর সাথে মুক্তা নামের মেয়েটির সম্পর্কের কথা আমি জানি। এক পর্যায়ে এই বিষয়টকে কেন্দ্র করে স্বামীর সাথে রাগা-রাগি করে আমি বাবার বাড়ী চলে যাই"।
স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ধর্ষণের এই অভিযোগের বিষয়টি এইমাত্র জানতে পেরেছেন।
পলাশবাড়ী থানায় অভিযুক্ত বায়েজিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত) অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।