যোবায়ের হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে গরু পালনকারীরা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা ৪টি ইউনিয়নে ৪টি গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি (টাওয়ার) গ্রামের আফছার আলীর ছেলে ফেরদৌসের (৩০) গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৬টি গরু ও গাড়িদহ ইউনিয়নে দড়িপাড়া গ্রামের তারা বেগমের (৬৫) ২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। 
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের কৃষক ফেরদৌস প্রতিদিনের ন্যায় গোয়ালে গরু রেখে তালা লাগিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ফজর নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে গিয়ে দেখে গোয়ালের তালা ভাঙ্গা ও গরুগুলো নেই, কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। পরবর্তিতে অনেক খোঁজা খুজি করেও গরু খুঁজে পাওয়া যায়নি। চোরেরা গোয়ালের তালা ভেঙ্গে ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে ৬টি গরুর দাম ৭/৮ লাখ টাকা।
একই রাতে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাবলু ফিলিং ষ্টেশনের পিছেনে দড়িপাড়া গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর স্ত্রী তারা বেগমের গোয়াল ঘরের টিনের বেড়া কেটে ২টি গাভি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। যার বর্তমান মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী তারা বেগমের মেয়ে শানু জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে চোরেরা গোয়াল ঘরের টিনের বেড়া কেটে গাভি ২টি চুরি করা সময় টের পেলেও চোরচক্র বাড়ির বাহির থেকে দরজার ছিটকানি লাগিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়াই ধরতে পারিনি। তারা পিকআপে তুলে গরু নিয়ে যায়। 
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৭ আগষ্ট রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ভায়রা গ্রাম থেকে ২টি গরু ও ২৩ আগষ্ট শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় গ্রাম থেকে ২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এভাবে একের পর এক কৃষকের গরু চুরির ঘটনায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেরদৌসের চাচা শাহ জামাল জানান, ৩টি গাভী ও ৩টি বাছুর চুরি হওয়ায় সে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই গরুগুলো লালন পালন করে দুধ বিক্রির টাকা দিয়ে সে তার পরিবারের ভরন পোষন করতো। 
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, গরু চুরির বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে, এই চক্রটিকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।