বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
20 Aug 2025 10:26 am
![]() |
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে এখন সর্বত্রই আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক আর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। একপক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করছে, আর জনগণ দাঁড়িয়ে আছে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে—এই লড়াই আসলে কাদের জন্য? দেশের জন্য, নাকি কেবল ক্ষমতার জন্য?
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় সাধারণ মানুষের কষ্ট এখন চোখে পড়ার মতো। বাজারে গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেন সাধারণ ক্রেতাদের ধৈর্যের সীমা পরীক্ষা নিচ্ছে। কর্মসংস্থানের অভাব ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চেপে ধরেছে অর্থনীতিকে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো এই বাস্তবতা থেকে সরে গিয়ে ক্ষমতার সমীকরণে ব্যস্ত—এটাই সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয়।
রাজনীতির মাঠে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সরকার ও বিরোধী—উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস এতটাই গভীর হয়েছে যে, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নেও ঐকমত্য দেখা যায় না। সংলাপ ও আপসের সংস্কৃতি যেন অতীতের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা অর্থনীতি ও সমাজকে টেনে তুলতে সহায়ক হতো।
তরুণ প্রজন্ম আজ বিভ্রান্ত। শিক্ষা শেষে তারা চাকরি পাচ্ছে না, পাচ্ছেও না প্রত্যাশিত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। রাজনীতির প্রতি তাদের অনীহার পেছনে মূল কারণ এই অচল রাজনৈতিক পরিবেশ, যেখানে সৃজনশীলতা বা যোগ্যতার চেয়ে প্রভাবশালী পরিচয় বেশি গুরুত্ব পায়। তরুণদের যদি আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূলধারায় না আনতে পারি, তবে দেশের সবচেয়ে বড় শক্তিই পরিণত হবে দুর্বলতায়।
রাজনীতিকে যদি শুধু ক্ষমতা দখল আর বিরোধিতার মধ্যে আটকে রাখা হয়, তবে এর ফল ভুগবে গোটা জাতি। এখন সময় এসেছে সৎ নেতৃত্ব, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির দিকে ফিরে যাওয়ার। জনগণ উন্নয়ন চায়, স্থিতিশীলতা চায়, জীবনের নিরাপত্তা চায়। রাজনীতি যদি সেই প্রত্যাশার জবাব না দিতে পারে, তবে জনগণ রাজনীতির প্রতি আস্থা হারাবে—যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে রাজনীতিকে জনগণের সেবার হাতিয়ার বানাতে হবে। সংকট যতই গভীর হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ ইচ্ছাশক্তি থাকলে সুযোগও ততটাই বড়। প্রশ্ন শুধু—আমরা কি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?
লেখক ও রাজনীতিবিদ,মোঃ আজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন ,কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, জাতীয় পার্টি ,সাবেক সহ-সভাপতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি সাবেক সভাপতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ,সাবেক প্রচার সম্পাদক, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ