বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
20 Aug 2025 12:00 pm
![]() |
মোঃমামুন হাওলাদার শিমুল ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ-ইন্দুরকানীতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার র্যাব-৬ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার অভয়নগর থানা নওয়াপাড়া এলাকা থেকে পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের মো. জলিল সেপাইর ছেলে রাকিব সেপাই (২২) ও মৃত নুরুজ্জামান খানের ছেলে জসিম খানকে (২০) গ্রেপ্তার করে।
আসামিরা দালালের মাধ্যমে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ঘটনার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে ছিল। গ্রেপ্তার আসামিদের সোমবার রাতেই ইন্দুরকানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল হাই খানের কাছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদকসেবী রাকিব সেপাই ও জসিম খান তার কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাদাবি করে আসছিল।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ০৩ আগষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাই খানকে পশ্চিম বালিপাড়া এলাকায় আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ও ডান পা ভেঙ্গে দেয় ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সে পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পশ্চিম বালিপাড়া এলাকায় মাদকসেবীদের নিয়ে আড্ডা ও নেশার টাকার জন্য চুরি সহ চাঁদা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আহত আব্দুল হাই খানের ভাই জাহিদুল খান জানান, দুই মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী রাকিব সেপাই ও জসিম খান আমার ভাইয়ের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে দেয় এবং দাও দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।এঘটনায় ৭ আগষ্ট রাকিব সেপাই ও জসিম খানের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টা অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন জানান,ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি হওয়ার পর র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তারা গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।মঙ্গলবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জামিন না’মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।