সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
19 Aug 2025 04:25 am
![]() |
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:- ৫৫ পুরানা পল্টন আজাদ সেন্টার দ্বিতীয় তলা বিগ আপেল রেস্টুরেন্টে জাতীয় ঐক্যজোটের উদ্যোগে জুলাই সনদ এর বাস্তবায়ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় ইসলামী জনকল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের কাঠামো অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান যে জুলাই সনদ পাঠ করেছেন সেটি জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছাত্র জনতা দেখেছে এই জুলাই সনদে তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি।বাংলাদেশের ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে জুলাই সনদে উঠে আসেনি। বিশেষত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের ৪৭ এর ইতিহাস, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস কে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সনের ১৫ই ফেব্রুয়ারি একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে গণআন্দোলন হয়েছিল সেটি কেও পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীর ইন্দনে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা অফিসার কে নিশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটিও তুলে ধরা হয়নি। আগামী রাষ্ট্রের কাঠামো কিভাবে নির্মিত হবে তার কোন উল্লেখ নাই। এই জুলাই সনদে ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তদানে যে জুলাই বিপ্লব হয়েছে তার কোন আইনি ভিত্তির কথা উল্লেখ না করে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপর এর বৈধতা ছেড়ে দিয়ে ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নেতৃবৃন্দ এই জুলাই সনদকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে জুলাই সনদ ঘোষণার জোর দাবি জানিয়ে আরো বলেন, দেশে এখনো কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে নতুন করে রাষ্ট্র মেরামতের। এখন সরকার ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে একটি দলকে খুশি করার জন্য ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করে দ্রুত একটি পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। এখন থেকেই একটি বড় দলের নেতারা ভোটারদেরকে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে। প্রশাসন ঠিক মতো কাজ করছে না। দ্রুত প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুন করে সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণভোটের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে গণভোটের ব্যবস্থা করতে পারে এর আগে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিতে পারে, এটা হবে দেশের সবার জন্যই মঙ্গলময়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গনঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ইসলামী ঐক্যের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল আহাদ নূর, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি ও মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইনের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খান, বাংলাদেশ পিপাস পার্টি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, গণআজাদি লীগের চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ খান আতা, বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমজীবী পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন আব্দুল কাদের জিলানী, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টের চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী, বাংলাদেশ ইসলামী নাগরিক পার্টি চেয়ারম্যান এম এ হানিফ, বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আজহারুল ইসলাম, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ ড মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টি চেয়ারম্যান এডভোকেট নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রানা, বাংলাদেশ গ্রামীণ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, জনতার কথা বলে মোহাম্মদ নাঈম হাসান, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, স্বাধীন বাংলা সংসদ বাংলাদেশ সাবাস বাংলাদেশ চেয়ারম্যান হাজী এ জলিল টাইগার বাপ্পি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল জব্বার, জাতীয় অধিকার মঞ্চের সভাপতি জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ দেশ প্রেমিক প্রজন্ম বিপিজি আহ্বায়ক কাওসার মিয়াজী, বাংলাদেশ জেনারেশন পার্টির চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান এম এম ফয়জুল্লাহ পাঠান, রাসুলের আদর্শের সৈনিক পার্টির মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টির সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবী নতুন ঐক্যজোট আহবায়ক আলহাজ্ব এম ইউসুফ, নতুন বাংলার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, জনতা পার্টির সমন্বয়কারী কাদের সোহেল, ইসলামী শরীয়ত পার্টির সভাপতি জনাব ইলিয়াস রেজা, জাতীয় সমন্বয় প্যানেল তাইফুর রহমান রাহি, বাংলাদেশ কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম, সাবাস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম এ জলিল প্রমুখ।
সভা শেষে জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লা, সমন্বয়কারী মুখপাত্র মোঃ মাসুদ হোসেন, সমন্বয়কারী মিডিয়া আতাউল্লাহ খান ও ইসলামী দলসমূহের সমন্বয়কারী আহসানুল্লাহ শামীম, সহ-সমন্বয়কারী দপ্তর হুমায়ুন কবির কে নির্বাচিত করা হয়।
বার্তা প্রেরক,(মোঃ মাসুদ হোসেন)চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ ও সমন্বয়কারী, জাতীয় ঐক্যজোট