মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
20 Aug 2025 12:33 am
![]() |
পাবনার আমিনপুরে স্থানীয় থানার ওসি’র প্রত্যক্ষ সহায়তায় মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ৫ ডিরেক্টরের একজন মোঃ শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে। এসময় শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পাওনা বেতন-ভাতার দাবি জানাতে তাদের মারধর ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি ভয়-ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক নেতা শেখ নাসির উদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে ১১ আগস্ট ২০২৫ সোমবার রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মাসুদ রানা এবং ফজলুল করিম মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেড( সি -১৭৪৮০২) এর ফাউন্ডার, ডিরেক্টর এবং শেয়ার হোল্ডার জানান, কোম্পানির সিডিউল টেন অনুযায়ী এই কোম্পানির মালিক পাঁচজন- ১. মোঃ শামীম আহমেদ, ২. মোঃ মাসুদ রানা, ৩. মোঃ ফজলুল করিম, ৪. মোঃ আব্দুল আওয়াল ও ৫. মোঃ ফাহাদুল আফসার চৌধুরী।
তারা জানান, জনাব শামীম আহমেদ কোম্পানির বাকী ডিরেক্টরদের নিয়ে কখনো কোন মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন না। কোম্পানি তিনি একক স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করছেন।ডিরেক্টরদের সাথে তিনি কখনোই কোম্পানির জবাবদিহিতা করেন না। কোম্পানির বাকি ডাইরেক্টরদের স্বাক্ষর নকল ও অবৈধভাবে জানা অজানা শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে হাতিয়ে নিয়েছেন। যার পরিপেক্ষিতে ইতিমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও
আর জেএসসিতে একটি কমপ্লেইন দাখিল করি ও প্রত্যেকটা ব্যাংককে একাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য নোটিশ প্রদান করি। অতঃপর আমরা পল্লী বিদ্যুৎ কাশীনাথপুর শাখা, বিএসটিআই, পাবনা আমরা অভিযোগ দাখিল করি।
তারা বলেন, আমরা যখন কোম্পানিটা বন্ধ করেছি ঠিক তখনি শামীম আহমেদ অন্য অনেকগুলো কোম্পানি খুলেছেন যার মধ্যে মেরিনার্স বেকার্স এন্ড বেভারেজ লিমিটেড একটি। শামীম আহমেদ মেরিনারস ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের সম্পদ মেরিনার্স বেকারস এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের নামে সম্পদ ট্রান্সফার করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, আমরা তাৎক্ষণাৎ বাধা প্রদান করি। শামীম আহমেদ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর দোসর। শামীম গং ও আমিনপুর থানার ওসির নগ্ন হস্তক্ষেপে প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ আগস্ট ২০২৫ রবিবার দিনে-দুপুরে কোম্পানির শ্রমিকদের মারধর, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে এবং মেরিনার্স ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডের মালিকদের সম্পদ ও মেশিনারিজ ক্রেন ও ট্রাক ব্যবহার করে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি ও লুট করে। এই ঘটনাটির পুরাটাই আমিনপুর থানার ঐ ওসির নগ্ন হস্তক্ষেপে সংঘটিত হয়েছে। আমরা তার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করি।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, যেকোন কোম্পানী স্থানান্তর বা বন্ধ করতে হলে শ্রমিকদের ৩ মাস আগে নোটিশ দিয়ে অবগত করতে হয় এবং তাদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু শামীম আহমেদ গং কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গায়ের জোরে মালামাল নিয়ে গিয়েছেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা। আমরা শামীম আহমেদ ও আমিনপুর থানার ওসির বিচার দাবি করছি এবং অবিলম্বে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় যেকোন অপ্রীতিকার পরিস্থিতির দায় সরকার ও শামীম আহমেদের ওপর বর্তাবে।