রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
20 Aug 2025 12:04 pm
![]() |
যোবায়ের হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা পূর্বপাড়ার ৫শ পরিবার ২ মাস ধরে পানিবন্দি থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রান ও পানি নিস্কাসনের দাবীতে এলাকাবাসি এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট, এমনকি বাসা বাড়িও মাসের পর মাস পানিবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। পানি নিস্কাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টায় গ্রামবাসির আয়োজনে এক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এ সময় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদুল ইসলাম, মহিলা মেম্বার নাসিমা আক্তার, সাবেক মেম্বার যুবদল নেতা আরমান আলী, যুবদল নেতা জুলাই যোদ্ধা মুজাহিদ পারভেজ, আব্দুল্লাহেল আল কাফি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারি জিন্নাহ, জুলাই যোদ্ধা ফরহাদ প্রমূখ। এ সময় শতাধিক গ্রামবাসি এই মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন আমরা বছরের প্রায় অর্ধেক সময় পানিবন্ধি জীবন যাপন করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আমাদের এলাকার পানি নিষ্কাসনের কোন ব্যবস্থা করেন, তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছি।
সরজেমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দক্ষিনে ও ঢাকা- বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা পূর্বপাড়ার ৫শ পরিবারের একামাত্র চলাচলের রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে আছে। শহরতলী হলেও জীবন ধারনে তারা গ্রামের মানুষের চেয়েও অবহেলিত। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে আছে, ফলে পানি বাহিত রোগ বালাই নিত্য সঙ্গীতে পরিনত হয়েছে এলাকাবাসির।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন স্কুল কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরীজীবী ও শিশুরা। তারা প্রতিদিন নতুন কাপড় পরেও লাভ হয়না কেননা ভেজা কাপড় পরে কোথাও যায়না। পানিবন্ধি জীবনের কারনে ওই এলাকার সকলকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসির পক্ষে মুজাহিদ পারভেজ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, ঘরের মধ্যে পানি উঠে। পানি নিস্কাসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি মৌসুমের পুরোটা সময় রাস্তা পানির নীচে থাকে।
এ ব্যাপারে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার তুলনামুলক বেশি পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে, পানি নিস্কাসনের নতুন ড্রেন নির্মান করা দরকার। ইতিমধ্যেই আমরা একটি জরিপ করেছি খুব দ্রুই এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, খোঁজ নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে পানি নিস্কাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।