শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫
19 Aug 2025 05:00 am
![]() |
রাকিবুর রহমান রকিব,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:-গত বছর এই ঘাটলা টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি ঘাটলাটি দখল মুক্ত করেন । গতকাল অরুয়াইল বাজারে গেলে দেখা যায় বাঁশ ফেলে আবার দখল করে নিয়েছে।এত বড় হাট।অথচ কোন ঘাট নেই।বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাট এখন বাঁশের নিচে।তাই চরম ভোগান্তিতে হাট ও বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষ।জানিনা কবে এই ভোগান্তি শেষ হবে।
গতকাল দুপুরে আগে কথা গুলো জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের ব্যবসায়ী নাম"না বলার শর্তে তিনিসহ বাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ী জানান, অরুয়াইল বাজারের পুর্ব পাশ দিয়ে মেঘনা- তিতাস নদীর পশ্চিম পাড়ে-৬৫ লাখ টাকার ঘাটটিও বাঁশ নিচে চাপা পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তার উপর একটি টং আর বাঁশ রাখা হয়েছে। যার ছবি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে উপজেলা অরুয়াইল বাজারের এত বড় হাটে কোন পাবলিক ঘাট নেই।তাই বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষের পণ্য উঠানামা ও বাজারে বসবাসকারী পরিবার গুলোর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতেই চাননি প্রথমে। পরে ব্যবসায়ীদের তথ্যের মতে দেখা যায়,উপজেলার তিতাস-মেঘনা নদীতীরে গুরুত্বপূর্ণ অরুয়াইল বাজারের সরকারি ঘাটলাটি দখল করে দোকান করে দখলে দখল তবিয়তে রয়েছেন। দখল নিয়ে চলছে এলাকায় মুখরোচক আলোচনা। এর আগেও অনেক গণমাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয়। উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ দখল নিয়ে একাধিকবার সদস্যরা বক্তব্য প্রকাশ করেন।
পরে উপজেলা প্রশাসন সরকারি ঘাট উদ্ধারে নামেন,' উদ্ধারও করা হয় ।নতুন করে আবার বাঁশ ফেলে শেষ জায়গা দখল করেছে।আগেই ঘাটলার উপরে নির্মাণ করে হয়েছে স্থাপনা।এতে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।তাই সরকারি ঘাটলাটি দখলদারদের হাত থেক উদ্ধারের দাবি করেছেন স্হানীয়,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ।ঘাটলা দখলে (৭০) বছরের সফর মিয়া বলেনঃ সরকারের দেওয়া জনগণের ঘাটলা দখলে’কবর’হয়ে গেছে।এখন বাঁশ’ ফেলে ঘাটলা-নদী দখল নিতে ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া। বাদল মিয়া বলেন,অভিনব কায়দায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত সরকারি গণঘাটলা দখল এখনো বন্ধ হয়নি। এই বাঁশের নিচে পরে আছে ৬৫ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে নির্মিত গণঘাটলা।এই গণঘাটলা টি উদ্ধারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আরিফুল ইসলাম সুমন বলেন,গতবছর সরাইল উপজেলা প্রশাসন কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে এ ঘাটলা উদ্ধার করে দখলমুক্ত করে অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার মাধ্যমে।এরপরও যদি এটা দখল হয়, তাহলে এর দায় চেয়ারম্যানের।
অরুয়াইল ইউপি বিএনপি সভাপতি মো. মাজহারুল হক বলেন, আমরা দেখেছি গত বছর উপজেলা প্রশাসন ঘাটলা উদ্ধার করেছে।বর্তমানে টং ও বাঁশ দিয়ে আবার দখল করেছে।আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই দখল মুক্ত ঘাট আবার যেন উদ্ধার করে জনগণের কাজে ব্যবহার করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাই।
অরুয়াইল বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া বলেন,সবাই জানে গত বছর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ঘাটলাটি উদ্ধার করা হয়েছিল।সে সময় প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা খরচ করে ঘাটটি বাজারের মালামাল উঠানামার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল।দুঃখ হলেও সত্য এখন আবার বাঁশ দিয়ে দখল করা হয়েছে।বাজারে ব্যবহারের মত কোন ঘাট নেই।আমি বাজারবাসীর পক্ষ থেকে পুরানো ঘাট উদ্ধারের দাবি জানাই।নৌপথে নৌকা বা জাহাজ থেকে মালামাল লোড-আনলোড করার জন্য বাজারের বৃহৎ স্বার্থে বিশ্বব্যাংক প্রায়( ৬৫) লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ঘাটলা নির্মাণ করেছিল।অরুয়াল বাজারের উদ্ধার হওয়া ঘাটলা দখল থেকে রক্ষা পায়নি সরকারি এ ঘাটলাটি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, বাঁশের নিচে ঘাটলার খোঁজ নেওয়া হবে।সরকারি সম্পত্তি কেউ দখল করতে পারবে না। ইউএনও বলেন,উচ্ছেদ নথি সৃজন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। এবং নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।