সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
28 Jul 2025 05:17 am
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামী রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে অনশনে বসেছে এক নারী। গতকাল থেকে অবস্থান অব্যাহত থাকায় মারধর করাসহ স্বামীর পরিবারের লোকজন স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে এই নারীর অভিযোগ।
রোববার (২৭ জুলাই) উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর পুর্বপাড়া গ্রামে দেখা গেছে- ওই নারীর অনশনের চিত্র। এ সময় উৎসুক জনতার ঢল দেখা গেলেও বাড়ি থেকে পালিয়েছেন রাশিদুল ইসলামসহ তার বাবা-মা ও ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার এক নারীর সঙ্গে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর পুর্বপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলামের পরিচয় হয়। এরপর থেকে উভয়ের মধ্যে চলে প্রেম-ভালোবাসা। এভাবে একে অপরের মন দেওয়া-নেওয়ার দুই বছর পর গত ১১ জানুয়ারিতে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ওই নারীর পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে দু’জনে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন চট্রগ্রামের সাগরপার এলাকায়।
এরই মধ্যে কয়েক দফায় স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন রাশেদুল। এরপর গত ২ জুলাই সকালে এ নারী তার কর্মস্থলে যান। এই সুযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরের জিনিসপত্র ও নগদ টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি মহেশপুরে পালিয়ে আসেন রাশেদুল। এরপর তাকে তালাক দিয়েছেন এবং অন্যত্র আরেক বিয়ে করবেন বলে ওই নারীকে জানান রাশেদুল।
এছাড়াও নানান টালবাহনা শুরু করেন এই স্বামী। এ অবস্থায় গত শনিবার (২৬ জুলাই) ওই নারী চট্টগ্রাম থেকে সাদুল্লাপুরের স্বামী রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে আসেন।
তখন রাশেদুল ও তার বাবা, মা, ভাই ও দাদিসহ অনেকে নারীকে পিটিয়ে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এতে এ নারী অসুস্থ হয়ে সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে রোববার দুপুরের দিকে আবারও রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশনে বসেছেন এই নারী।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নারী বলেন, স্বামী রাশেদুলের সঙ্গে ঘর-সংসারের একপর্যায়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি। আমি স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য স্বামীর বাড়িতে এসেছি। এখানে আমাকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, আমি এখন নিরুপায়। হয় স্ত্রীর মর্যাদা পাব, নয়তো এই বাড়িতে জীবন দিব।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী সরকার বাসু বলেন, ইতিমধ্যে ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।