শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
20 Jul 2025 08:13 pm
![]() |
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির্ (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান খাগড়াছড়ি জেলার ভাইবোন ছড়ায় ১৪ বছর বয়সী এক ত্রিপুরা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ ১৮ জুলাই ২০২৫ সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “এই বর্বর গণধর্ষণের ঘটনা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বরং সমগ্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ইঙ্গিত দেয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভয়াবহ মানসিক আঘাতের কারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল — এই জন্যই জঘন্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।” নইলে শত ঘটনার মতো এটাও লোকচক্ষু আড়ালেই থেকে যেতো।।
সিপিবি(এম) নেতৃবৃন্দ আরো বলেন বলেন, গত ২৭ জুন, রথযাত্রার মেলা শেষে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপনরত অবস্থায় ছয়জন ব্যক্তি গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় তার আত্মীয়কেও বেঁধে রাখা হয়। এখন পর্যন্ত চারজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে ধর্ষকরা বেচেঁ যাওয়ায় ধর্ষনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
সিপিবি(এম) নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।এ দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। সারাদেশেই ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ওপর নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ধর্ষণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অঞ্চলকে একটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত নিপীড়নের এলাকায় পরিণত করা হয়েছে। যেখানে সামরিক উপস্থিতি চলমান সেখানে কিভাবে ঘটে এমন ঘটনা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে! “পূর্ববর্তী বহু ঘটনায় যেমনটি দেখা গেছে, ধর্ষকদের রক্ষা করা হয়েছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, বিচার হয়নি। আজও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদরত স্থানীয় জনগণের ওপর দমন নেমে এসেছে — সামরিক বাহিনী আন্দোলনে বাধা দিয়েছে এবং দুইজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।অপরাধীর পরিবর্তে প্রতিবাদ কারিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।।
সিপিবি(এম) নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্বরোচিত গনধর্ষন দেশবাসীকে হতাস ও আতংকিত করে তুলছে খাগড়াছড়ির এই গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত সকল ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।সারাদেশে নারী ও সংখ্যালঘু জাতিসত্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং জনগণের মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।নইলে আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের সুনাম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হবে। আমাদের ভাবতে হবে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করবো নাকি তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে নিজেদের ধর্ষক জাতি হিসাবে পরিচিত করবো বিশ্ব দরবারে।
বার্তা প্রেরক,কমরেড তারেক ইসলাম বিডি,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম)