বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫
26 Aug 2025 01:05 pm
![]() |
শাহ আলী বাচ্চু স্টাফ রিপোর্টার জামালপুর:-সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম লাবন তালুকদারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার বেতন পরীক্ষার ফিসের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার কথা বলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি ও আওনা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড শাখা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লাবন তালুকদার কর্তৃক জনপ্রতি ২ হাজার ৬ শ' টাকা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে বাকী জনপ্রতি ১ হাজার ৬শ' টাকা আত্মসাৎ করার কথা অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও অবিভাবক মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অবিভাবক মুনছের ড্রাইভার জানান, লাবন তালুকদার আমার ছেলের পরীক্ষার জন্য আমার কাছ থেকে ছাব্বিশ শ' টাকা নিয়ে স্কুলে ১ হাজার টাকা জমা দেয়ায় আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন- লাবন তালুকদার আমার কাছ থেকে ২ হাজার ৬শ' টাকা নিয়ে আমার ছেলের নামে স্কুলে ১ হাজার টাকা জমা রশিদ দিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা না পেয়ে আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি এবং উল্টো গালিগালাজ করে অপমান করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীর অবিভাবকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন- লাবন তালুকদার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে নিয়ে স্কুলে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা জমা দেয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওইসব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি। তারা আরো বলেন- পরীক্ষার কথা বলে লাবন তালুকদার কম করে হলেও লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল ইসলাম বিএসসি জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্য থেকে চলমান অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৪১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুলের বেতন ও পরীক্ষার ফিসের অভাবের কারণে কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করা হয়নি। যারা পরীক্ষা দিতে চেয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম লাবন তালুকদার কর্তৃক পরীক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম লাবন তালুকদারের সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তাতে তিনি সাঁড়া দেননি।
এ ব্যাপারে আওনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সুরুজ মিয়া'র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন- শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় কোন অবিভাবক যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তথ্য প্রমাণের আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত লাবন তালুকদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।