মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
27 Aug 2025 01:41 am
![]() |
মোঃমামুন হাওলাদার শিমুল ইন্দুরকানী উপজেলা প্রতিনিধি;- ইন্দুরকানী উপজেলা ৬টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আলিম পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যায়, কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ও সম্মানিসহ নানা খাত দেখিয়ে আলিম পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।শিক্ষকদের একটি চক্র প্রবেশপত্র দেওয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করছেন অভিভাবকরা।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের খরচাপাতি বাণিজ্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতনদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,ইন্দুরকানী এফ করীম আলীম মাদ্রাসা, বালিপাড়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা,বালিপাড়া চানসিরাজিয়া মহিলা আলীম মাদ্রাসা, টগড়া দারুল ইসলাম কামীল মাদ্রাসা,দিঘীরপাড় আলীম মাদ্রাসা,ও বাটাজোর আলীম মাদ্রাসার মোট ১৪৮ জন শিক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিবে। আর তাই সকল শিক্ষার্থীদের প্রবেশপথ বিতরণ করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।কিন্তু পরিক্ষার হল সুপারের নির্দেশেই প্রবেশপথ বিতরণে প্রত্যেক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।
ইন্দুরকানী এফ করীম আলীম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা ফরম পূরনের সময় তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে। ফের প্রবেশপত্র আটকিয়ে ৮০০ টাকা করে আদায় করছে। আমি ২০০ টাকা কম দিয়ে প্রবেশপথ নিতে চাইলে মাদ্রাসা থেকে আমাকে প্রবেশপথ দিচ্ছে না। তাছাড়া এরকম বাড়তি টাকা সকল শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনেকেই টাকা দিতে না পেরে প্রবেশপথ না নিয়েই বাড়িতে চলে গেছে।
একই মাদ্রাসার আর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ে মাদ্রাসার ভিতরে ভালো ছাত্রী কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে গেলে মাদ্রাসা থেকে ৮০০ টাকা দাবি করলে আমার পক্ষে ৮০০ টাকা দেওয়া সম্ভব না জানিয়ে টাকা আদায়কারী শিক্ষকের কাছে ২০০ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু শিক্ষক সাফ জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম নেওয়া সম্ভব না। তাই আমি আমার মেয়ের প্রবেশপত্র না নিয়েই চলে আসি।
টাকা আদায়ের দায়িত্বে থাকা ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম জানান, আলীম পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামীল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ এর নির্দেশনায় প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় ৮০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমার মাদ্রাসায় ২৮ জন আলীম পরিক্ষার্থী রয়েছে তাদের প্রত্যেকের থেকে ৮০০ টাকা করে নিয়ে হল সচিবকে দিতে হবে কারো থেকে এক টাকাও কম নেওয়া হলে সেই টাকা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে পুরন করে হল সুপার কে দিতে হবে এমনটাই হল সুপার বলেছেন আর সেই কারণেই তিনি বাড়তি টাকা আদায় করছেন।
এ ব্যাপারে আলীম পরিক্ষার হল সুপার টগড়া দারুল ইসলাম কামীল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহীল মাহমুদ বলেন, পরিক্ষার সময় বোর্ড থেকে আসা কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে, সেই খরচ মেটানোর জন্যই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপথ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।কার নির্দেশে তিনি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাদ্রসা বোর্ড ও পরিক্ষার কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে টাকা নেওয়া হচ্ছে।তাছাড়া বিগত বছরেও পরিক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করার সময় এমন ভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়য়ে কোন লিখিত অনুমতি আছে কিনা জানিতে চাইলে লিখিত অনুমতি নেই বলে তিনি জানান।