সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
27 Aug 2025 05:16 am
![]() |
শাহ্ আলী বাচ্চু স্টাফ রিপোর্টার জামালপুর:-জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষকের সম্পদ জোর করে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চর মাদার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চর মাদার এলাকার বাসিন্দা।তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ।কয়েক বছর আগে চাকুরী থেকে অবসরে যান তিনি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ শিক্ষক ভূগছেন বাধর্ক্যজনিত নানা রোগে।
আর এ সুযোগেই তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও নিজের কেনা সম্পত্তিতে নজর পরেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক চক্রের।প্রতিবাদ করার মতো অবস্থা না থাকায় নিত্যদিনই তার জমি বেদখল করার হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় তারই কিছু আত্মীয়।এমনটাই অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান,তার সন্তাননেরা ব্যবসা করার সুবাদে এলাকার বাইরে থাকেন, তিনি অধিকাংশ সময় অসুস্থতায় থাকেন।তাকে অসহায় পেয়ে তার কতিপয় আত্নীয় নুরনবী, মাহাবুব, শাহজাহান, ইউনুছ মোল্লা গং তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ও নিজের কেনা সম্পত্তি জবর দখল করার পায়তারা করছে, তারা মাস্টারের ক্ষেতের ফসল জোরপূর্বক কেটে নেয়া থেকে পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও তারা ক্ষান্ত হয়নি, উপরন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন তারা জমি দখল করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রসানের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিক্ষক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মাহাবুবা বেগম জানান, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। শাজাহান মোল্লা আমার স্বামী কাছে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়েছে কিন্তু কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন না। বলতে গেলে আমার স্বামীর অন্য সম্পত্তিও তারা দখল করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সময় সালিশ দরবার হলেও তারা সালিশের রায় মানছেন না। এমতাবস্থায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুব শংকায় দিন কাটাচ্ছি।
হাবিবুর রহমানের ছেলে মাসুদ বলেন,ব্যবসায়িক কাজে আমি ও আমার ভাই এলাকার বাইরে থাকি। বাড়িতে শুধু আমার বৃদ্ধ বাবা মা থাকে। নুরনবী মোল্লা, শাহজাহান মোল্লা, মোঃ ইউনুস মোল্লার গংরা আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমাদের সম্পত্তি বেদখল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমরা পরিবার সহ অসহায় অবস্থায় আছি।এমন অবস্থা উত্তোরনে বিভিন্ন জনের দ্বারে ঘুরছি, কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরনবী, শাহজাহান,ইউনুস মোল্লার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম বলেন, হাবিবুর রহমানের সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোন পক্ষ আমার কাছে আসেনি।