শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
28 Aug 2025 03:17 am
![]() |
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:- দেশজুড়ে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।তবে এমন পরিস্থিতিতেও কুড়িগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আধুনিক পিসিআর ল্যাব ভবনটি শুধুই একটি পরিত্যক্ত স্থাপনা হয়ে পড়ে আছে।কারণ সেখানে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিংবা প্রশিক্ষিত জনবল।ফলে করোনা শনাক্তসহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ।
২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কুড়িগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেয় সরকার। প্রথম দফায় হাসপাতাল চত্বরে একটি কোয়ার্টার ভবনে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রাথমিক ল্যাব স্থাপন করা হয়। পরে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন একটি আধুনিক পিসিআর ল্যাব ভবন নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ, যা ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে ভবন প্রস্তুত থাকলেও ল্যাবটিতে নেই পিসিআর যন্ত্রাংশ বা পরীক্ষার অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সেই সঙ্গে নেই প্রশিক্ষিত জনবলও। ফলে স্থাপনার কার্যকারিতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। কবে নাগাদ ল্যাবটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে, তাও জানা নেই সংশ্লিষ্টদের।এদিকে, জেলার কোথাও বর্তমানে করোনা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। নেই র্যাপিড টেস্ট কিট বা নমুনা সংগ্রহে ব্যবহৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জামও।স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে যে সরঞ্জাম ও কিট রয়েছে সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে সেগুলো দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা ঝুঁকিপূর্ণ।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, সরকারের কাছে পিসিআর মেশিন ও জনবল চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই ল্যাবটি চালু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “আধুনিক ভবন প্রস্তুত রয়েছে, যন্ত্রপাতি ও জনবল পেলেই কুড়িগ্রামে কোভিডসহ বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণের নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা চালু করা যাবে।” সীমান্তবর্তী ও চরাঞ্চলসমৃদ্ধ এই জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে পিসিআর ল্যাবটি চালু হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় তা এখন আরও সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়।
সাইফুর রহমান শামীম