বুধবার, ০৭ মে, ২০২৫
07 May 2025 05:07 am
![]() |
স্টাফ রিপোর্টার:- চাঁদপুর সদর উপজেলার পূর্বগুলিশা গ্রামে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাহনাজ আক্তার (২০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ঘরে ঢুকে মারধরে করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।৫ মে সোমবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব গুলিশা গ্রামের রাঢ়ী বাড়িতে এই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে।
আহত শাহনাজ আক্তার ওই বাড়ির সৌদি প্রবাসী মাসুম রাঢ়ীর স্ত্রী। এই ঘটনায় ভাবিকে বাঁচাতে গেলে দেবর সোহেলকেও মেরে আহত করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
আহত শাহনাজের শ্বাশুড়ি মানসুরা বেগম জানায়, তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত রুহল আমিন রাঢ়ীর ছেলে জসীম রাঢ়ী দীর্ঘদিন ধরে তার পুত্রবধূ শাহনাজ আক্তারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে বিভিন্ন সময়ে বিরক্ত করে আসছে।জসীম রাঢ়ী প্রায় সময়ই শাহনাজের স্বামী বিদেশ থাকার অযুহাত দেখিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করাসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে।তাদের অভিযোগ শুধু তাই নয়, জসীম রাঢ়ী তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বাড়ির কবরস্থানের একটি জায়গার সমস্যা মিমাংশা করে দিবে বলে তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করেন।
এদিকে শাহনাজ আক্তার এমন বিরক্তীর বিষয়টি তার সৌদি প্রবাসী স্বামী মাসুমকে জানালে কয়েকদিন পূর্বে মাসুম, জসীম রাঢ়ীকে কল দিয়ে তার স্ত্রীকে এমন খারাপ বিষয় নিয়ে বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ করেন। তারই সূত্র ধরে জসীম রাঢ়ী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন বিকেলে তার ঘরের কাছে গিয়ে বিভিন্ন আজে বাজে কথা বলে গালমন্দ করতে থাকেন।
শাহনাজ ও তার শ্বাশুড়ি অভিযোগ করে বলেন, এসময় শাহনাজ তার মারমুখী আচরণ দেখে দৌড়ে ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন। তাৎক্ষণিক জসীম রাঢ়ী দৌড়ে শক্তি খাটিয়ে তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তার ওপর হামলে পড়েন। সে শাহনাজের গায়ের কাপড় টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলেন এবং তাকে কিল, লাথি ঘুষি সহ এলোপাতারি মারতে মারতে টেনে হিচরে ঘরের বাহিরে নিয়ে আসেন। তার ডাক চিৎকার শুনে তার দেবর সোহেল রাঢ়ী ভাবিকে মারধর থেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জসীম রাঢ়ী তাকেও মেরে আহত করেন। পরে বাড়ির সবার উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরে স্বজনরা শাহনাজকে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। বর্তমানে সে হাসপাতালের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, জসীম রাঢ়ী অনেক আগে থেকেই গ্রামে এমন বহু খারাপ কাজ করে আসছে। সে এরকম বহু ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেক নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে তাতেরকে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করতো। এমন বিষয় নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জনের দেয়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সে একসময় আওয়ামীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। এখন সে রূপ পাল্টিয়ে বিএনপির সাথে মিল দিয়ে চলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সে কারনে জসীম রাঢ়ী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এমন হামলা ও শীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসি।