রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
30 Jul 2025 11:51 pm
![]() |
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ- পানি উন্নয়ন বোর্ডকর্তৃক নবনির্মিত নদী শাসন ব্যাবস্থা জন্য বøক দিয়ে পাড় নির্মানও মানছে না বালু ব্যাবসায়ী। বøক ঘেঁষে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মান এবং বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের করতোয়া নদীতে স্যালো মেশিন বসিয়ে দিবালোক বালুর ব্যাবসা করেছে ইউনিয়নটির ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।ওই গ্রামের রাস্তা নির্মাণ কাজের বালু সরবরাহের দ্বায়িত্ব নিয়ে বালু উত্তোলন করেন তিনি। এছাড়াও কন্টাক্ট নিয়ে এলাকার লোকজনের বাড়িঘরেরও বালু ভরাট করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে নদীর একই স্থান থেকে।
করতোয়া নদীর মোহনা থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী গভীর হচ্ছে এবং পাশের বাড়িঘর এবং ব্লক ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে থাকে সিরাজুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহল্লাবাসিরা জানান, কুমারপুর গ্রামের করতোয়া নদীর তীরে বাড়ি সিরাজুল ইসলামের।বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময় থেকে এখন পর্যন্ত বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন তিনি এবং এখনো বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে বছরের পর বছর ধরে, তার বালু উত্তোলনের ফলে নদী গভীর হয়ে হয়েছে এবং ওই গভীর স্থানে বিগত বছরে এক যুবক রাতের বেলায় নদী পারাপারের সময় ডুবিয়ে মারা যায়। এছাড়াও একই স্থানে এক শিশুও গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে।কুমারপুর গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী দুই পাড়ের লোকজন স্কুল কলেজ এবং কৃষি কাজের জন্য সবসময়ই পারাপার হয়ে থাকে।জনমনে ভয়ভীতি নিয়েও গভীর নদী পারাপার হতে হয় তাদের। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় যে কারনে তার রমরমা এই বালুর ব্যাবসা। নিজস্ব মেশিন দিয়ে প্রায়ই বালু উত্তোলন করে সরকারি এবং বেসরকারি কাজেও বালু বিক্রি করে থাকে।
কুমারপুর গ্রামের মসজিদ এর পশ্চিম পাশে নদীর মোহনা তার পরেও সরকার কোটি টাকা ব্যায় করে নদীর পাড়ে বøক স্থাপন করেছে, সেই বøক ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের ফলে কৃষি আবাদি জমি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, মসজিদ এবং নদীর পাড় হুমকির মুখে রয়েছে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে কথা হয় সিরাজুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন, আমি নদীর সাইড থেকে বালু উত্তোলন করছি। নদী থেকে নয়।এছাড়াও উপজেলার করতোয়া নদীতে প্রায় শতাধিক স্থানে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে।
যারাই করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম।
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর