রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
23 Apr 2025 02:14 pm
![]() |
আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়াঃ-বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের কুন্দদেশমা গ্রামের নুর আলম হত্যা মামলার ৭ নং আসামি নাদিম কে শহরের বউবাজার এলাকা থেকে অনুমানিক রাত ০৯.১৫ মিনিটে বার্মিজ চাকু সহ গ্রেফতার করে নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,নিহত নূর আলম পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।তার হাঁসের খামার পরিচালনার পাশাপাশি নিজ এলাকায় ইট-বালুর ব্যাবসা করতেন।তিনি শাহজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের কুন্দদেশমা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন কনিষ্ঠ পুত্র।একই এলাকার সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রু তার জেরে ও ইট-বালুর ব্যাবসা কে কেন্দ্র করে গত ০৫/০৮/২৪ ইং এ অনুমানিক রাত ০৮.০০ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নূর আলমকে।নাদিম নূর আলমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।এই ঘটনায় নিহতের বন্ধু মিষ্টারো গুরুতর আহত হয়। নিহত নূর আলমের মা বাদী হয়ে শাহাজাহানপুর থানায় ১২ জন সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এজাহারের ৭ নং আসামি নাদিম একই এলাকার মোঃমুক্তারের ছেলে।নাদিম এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল শুরু থেকেই।যে কারণে নাদিমের পরিবার তাকে মালয়েশিয়াতে পাঠিয়ে দেয়।দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে এসে সে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে নূর আলম কে হত্যা করে।
নিহতের মা মোছাঃনাছিমা খাতুন ৭১ ভিশন কে জানান,গত ০৫/০৮/২৪ ইং তারিখে আমার ছোট ছেলে নূর আলম সন্ধ্যায় বাসায় নাস্তা করে তার বন্ধু মিষ্টারের সাথে দেশমা বাজারের চার মাথা স্ট্যান্ডে পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমার ছেলে ও তার বন্ধুর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃআব্দুল বাসেদ অকন্দের নির্দেশে আমার ছেলে ও তার বন্ধু মিস্টারকে মারধর করতে থাকে।এই সময় আমার ছেলে সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে প্রাণে বাঁচার জন্য তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে শাজাহানপুরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।উক্ত সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে শাজাহানপুরে পৌঁছালে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নাদিম তার হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে নুর আলমের মাথা থেতলিয়ে দিয়ে ঘটনার স্থল ত্যাগ করার আগে আমার ছোট ছেলে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।আমরা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে নূর আলম কে মুমূর্ষ অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো বলেন,আমি শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে ১২ জন সহ অজ্ঞাত ও সাত-আটজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করি।এরা দেশের শত্রু এরা জাতির শত্রু।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কে বিচারের মাধ্যমে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি যেন দেয়া হয়।আমার মত আর কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়।