সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
26 Mar 2025 12:51 am
![]() |
জাহাঙ্গীর আলম মানিক,সাপাহার (নওগাঁ)প্রতিনিধি:- সাপাহারে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বড় ২টি মার্কেটের গার্মেন্টস দোকান গুলো (বিপণীবিতান) ছাড়াও ফুটপাতের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। যে যার মতো করে সারছেন কেনাকাটা। বড়দের গেঞ্জি, জিন্সের প্যান্ট, মেয়েদের থ্রি পিস, পায়জামা-পাঞ্জাবি, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক রয়েছে দোকানগুলোতে।
সাপাহার লাবনী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, জনতা মার্কেট, ১৫ রমজানের পর থেকে ঈদের জমজমাট ব্যবসা চলছে। ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনছেন। অনেকে পোশাক না কিনে দেখতেও আসছেন। দামাদামি করে ফিরে যেতেও দেখা গেছে অনেককে। তবে এক দামে বেশিরভাগ দোকানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে।
সাপাহার জিরো পয়েন্ট ফুটপাত থেকে পছন্দের জামা-কাপড় কেনার সময় সেলিনা খাতুন নামের এক নারী ক্রেতা জানান, প্রতিবছর কম টাকার মধ্যে পরিবারের ঈদের কেনাকাটা করেন। বাজেটের মধ্যে যা কিনেন, তাতেই পরিবারের সবাই খুশি হন।
আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, তিনি স্বল্প আয়ের মানুষ। আশা ব্যাংক এনজিও তে চাকরি করে চার সদস্যের ভরণপোষণ করেন। রমজান মাসে এমনিতেই সংসারের খরচ বাড়ে। এজন্য ফুটপাত অথবা জনতা মার্কেট থেকেই পরিবারের সব সদস্যের জন্য কেনাকাটা করবেন।
জনতা মার্কেটের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখানে যারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন, তারা সকলেই স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। তাদের সামর্থ অনুযায়ী পোশাক কিনে তারা বাসায় ফিরছেন। অনেক দিনমজুর বা শ্রমিক তাদের প্রতিদিনের শ্রমের টাকাগুলো থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক নিয়ে যায়। আমাদের দোকানে ৫০/১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে পোশাক পাওয়া যায়
ক্রেতারা আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে প্রায় সবধরনের পোশাকের দাম বেশি রাখছে ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের কিছু করার নেই। পরিবারের সবার জন্য যেটুকু কিনতে পারছি সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
দাম বেশি রাখার কারণ সম্পর্কে আবুল বাশার নামের একজন জনতা মার্কেটের ব্যবসায়ী জানান, প্রতি বছরই পোশাকেই দাম কিছুটা বাড়ে। সেই হিসাবে গত বছরের চেয়ে পাইকারিতে আমরা কিছুটা বাড়তি দামে কিনে এনেছি। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সিমিত লাভ রেখে আমরা পোশাক বিক্রি করি। তাই ক্রেতা পর্যায়ে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছ।