বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
20 Mar 2025 03:50 pm
![]() |
আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধি:- হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের রায়ের ফলে তাদের চাকরির সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে। রায়ে বলা হয়েছে, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০% পদ নন-টেকনিক্যাল বা অকারিগরি ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে এবং তাদের ‘জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর’ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। সাধারণত, এই পদ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য নির্ধারিত ছিল। ফলে ভবিষ্যতে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য চাকরির শূন্যপদ ৩০% কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, "আমরা চার বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করি। অথচ আমাদের জন্য নির্ধারিত পদ কমিয়ে নন-টেকনিক্যালদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অন্যায় ও অবিচার।"
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তারা ঘোষণা দেন, অবিলম্বে এই রায় বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে মিড টার্ম পরীক্ষা ও নিয়মিত ক্লাস বর্জন করেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, "ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির নিশ্চয়তা না থাকলে ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। এতে দেশের শিল্পখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, নন-টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অপসারণ করে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য পদ সংরক্ষিত রাখতে হবে। তাদের দাবি, হাতে-কলমে শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেওয়া উচিত।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত রায়ের পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। পরিস্থিতি যাতে আরও জটিল না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।