রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫
03 Mar 2025 02:30 am
![]() |
অনন্ত সেলিম,জেলা প্রতিনিধি,বগুড়াঃ- বগুড়ায় যুবলীগ যুবদলের কাছে জিম্মি বিএনপি পরিবার মর্মে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি পরিবারের সদস্য মোছাঃ জিন্নাত আরা জেমি,তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আমার বাবা মরহুম জয়নাল আবেদীন সাবেক সভাপতি বৃহত্তর ৫ নং, ওয়ার্ড বিএনপি।
আমার চাচা জয়নাল আবেদীন চাঁন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা বিএনপি।আমার নানী মরহুমা মোসলেমা সাবেক মহিলা দল নেত্রী ও আমার দেবর মোঃ জামাল হোসেন ঝন্টু সাবেক সাধারণ সম্পাদক ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল।তিনি আরো বলেন বিগত ১৭ বৎসর থেকে আজ পর্যন্ত নির্যাতিত বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলতে চাই, আমি নিরুপায় বিগত আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মঞ্জুরুল আলম মোহনের ব্যবসায়িক পার্টনার জেলা যুবলীগেরসহ সভাপতি ভূমিদস্যু ফেরদৌস মাহমুদ সেলিমের দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
তৎকালীন সময়ে সেলিম মোহনের ছত্র ছায়ায়, বর্তমানে জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে, বিহারী সামসাদকে দিয়ে একটি টর্চার সেল বানিয়েছেন।শুধু তাই নয় সেলিম আমার দেবর মিনকোকে ক্রসফায়ার করায়, আমার স্বামী ও অন্য দেবরকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে এবং কলোনীতে আওয়ালীগের একক আধিপত্য স্থাপন করে। পরবর্তীতে আমার নিরীহ বড় সন্তানকে তার নানা বাড়ী থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের টর্চার সেলে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়।অনেক কষ্টে একটি বাড়ী ক্রয় করি।কিন্তু তৎকালীন সময়ে সেলিম তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার ভাড়াটিয়েদের তাড়িয়ে ঐ বাড়ীতে তার লোকজনকে উঠিয়ে দেয়।
বর্তমানে ঐ বাড়িটি যুবদলের হাসানের নিয়ন্ত্রনে আছে বলে জানান তিনি । গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সেলিম পালিয়ে গেলেও আবু হাসান সেলিমের নির্দেশে কলোনীতে সেলিমের ব্যবসা- বাণিজ্য, সেলিমের বাড়ী-ঘর দেখাশুনা করছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১১ টায় আবু হাসান আওয়ামী যুবলীগ ও তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আবু হাসান আমার দেবরের কাছ থেকে তার স্ত্রীর নামে জোর পূর্বক সোয়া (১,২৫) শতক জায়গা দলিল করে নিয়ে বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে পৌরসভার অনুমোদন না নিয়েই আমাদের চারপাশে আরো বেশি করে জমি দখল করে বাড়ী নির্মাণ করেছে। পূর্বে সেলিম আমাদের বসত ভিটা দখল করতে না পেরে বর্তমানে হাসানের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করছে। বর্তমানে এই হাসান বিএনপি হয়ে বিএনপি
পরিবারের জায়গা দখলে উঠে পড়ে লেগেছে। এই আবু হাসানের বাবা একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তার স্ত্রী বগুড়া মূক বধির বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা হতে হলে বধিরদের ইশারা বুঝতে হয়, ইশারার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আবু হাসান তার প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ম বহিভূত ভাবে চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে দেয়। এছাড়া তার কোন নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। কিন্তু সে এত টাকার মালিক কিভাবে হলো কলোনীতে একটি ৫ তলা বাড়ী, ১০ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে আরও একটি বাড়ী নির্মানাধীন ও ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ীতে করে রাজকীয় ভাবে চলাফেরা করছে।তার কোন আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও এত টাকার মালিক বনে গেলেন কিভাবে।
বিগত বিএনপির আন্দোলন যখন তুঙ্গে রাস্তায় বিএনপি নেতা কর্মিরা গুলি খেয়ে মরছে তখন আবু হাসানের বাসায় রাতে আওয়ামীলীগ নেতা দুলু, সেলিম, ভি পি শাহীন, শান্ত, বড় মাপের পুলিশ কর্মকর্তারা খাওয়া দাওয়া ও মিটিং করত কিভাবে আন্দোলন দমানো যায়।এই আবু হাসান কখনো জেল খাটেনি, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমার শেষ আশ্রয় স্থল বাড়ীটি রক্ষা, আমার ক্রয়কৃত বাড়ীটি উদ্ধার, আমার পরিবারকে বাঁচান।
সাংবাদিকের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে আকুল আবেদন জানিছেন এই অসহায় বিএনপি পরিবারকে সেলিম ও আবু হাসানের হাত থেকে রক্ষা করুন। উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান একটি মহল বগুড়া জেলা যুবদলের সম্মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের প্রতিহিংসায় কারো প্ররোচনায় এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট গল্প রচনা করা হয়েছে। যুবদল কখনো কাউকে জিম্মি করে না, যুবদল সর্বদা অন্যায়ের পাশে দাঁড়ায়।আমার দ্বারা তার বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে দলিলের ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। দলিল মূলে জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মান করা হয়েছে।আমার স্ত্রী মূখবধির স্কুলের শিক্ষিকা সে ৫ আগষ্টে পরে নয় অনেক আগে থেকেই নিয়ম মেনে চাকরি করছে। আমি কর্মকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। দলের সক্রিয় থেকেছি, জেল খেটেছি, আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা সেটা দেখেছেন, দেশের জনগণ সেটা দেখেছে।এই বিষয়ে যুবলীগের অভিযোগধারী সেলিম এর কাছে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এলাকার একজন সমাজপতি আমাদের জানান আজকের সংবাদ সম্মেলন কারীর পরিবারের সদস্যের মধ্যে মিনকো, ঝন্টু, মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত।
এলাকা বাসী সুত্রে জানা যায় এই পরিবারের প্রায় সবাই বালু ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত।এদের নামে প্রায় ৫ এর অধিক হত্যা মামলা সহ অনেক মামলার আসামি হিসেবে তাদের নাম থানায় লিপিবদ্ধ আছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কলোনির একজন সাধারণ মানুষ বলেন, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন যুবদল যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন কুচক্রী মহল এই যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানের নামে ও তার পরিবারের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
যুবদলের এই সদস্য কোনদিন কোন পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং নির্যাতনের মত কোন কাজে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই। তার ধারণা বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট সৃষ্টি করতে যুবদলের নামে এমন অপপ্রচারকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে থাকতে পারে তারা।তবে এ ধরনের অভিযোগ দলের জন্য বড় ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও জানান তিনি। তার মতে বিষয়টির