শনিবার, ০১ মার্চ, ২০২৫
01 Mar 2025 10:35 pm
![]() |
পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি:- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মিঠাপুকুরের রতিয়া গ্রামে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের ৮ সদস্যের একটি গনমাধ্যম কর্মীরা গতকাল ঐ রতিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐ গ্রামের আনারুল ইসলামের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের (৫৫) বাড়িতে ফুল তুলতে যায়।ফুল নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর মেয়ের মা বাবা ও জেঠাই রুহুল আমিনের বাড়ির অন্য ভাইদের জানায়, রুহুল আমিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।এ ঘটনায় অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে পাশের মসজিদে ফজরের নামাজের পর ঐদিন ইমাম শাহ আলম, মুয়াজ্জিন হাবিবর,মুসুল্লি নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী,পীরগঞ্জের সাহাপুর দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার একরামুল হক, সিদ্দিক মিয়া সাংবাদিকদের জানান,মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের বাড়িতে প্রবেশ করে আমরা দেখতে পাই ঐ স্কুলে পড়ুয়া মেয়েটি আঙ্গিনায় ফুল তুলছেন, ঘরের বারান্দায় রুহুল আমিন চেয়ারে বসে আছেন।
আমাদের মাঝে এক মুসুল্লি ওকে বলে এতো ফুল কি করবি, মেয়ে টি জানায়, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, শহীদ মিনারে ফুল দিবো। এই সময়ে মেয়েটি ছিল হিজাব পড়া পোশাকে পরিপাটি। ততক্ষণে মেয়েটি স্বাভাবিক ভাবে ফুল নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
রুহুল আমিন ও মেয়েটির বাড়ির রাস্তার মাঝে রতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। পাশেই একটি মুদি দোকান।ঐ সময়ে দোকানে বসা ছিদ্দিক ও সুলতান ঐ মেয়েটিকে বলে তোর কোছায় কি? সে জানায়, শহীদ মিনারে ফুল দিবো, তাই রুহুল ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফুল নিয়ে আসলাম।
পরে মেয়েটির মায়ের থেকে আমরা শুনলাম মেয়েটিকে নাকি ধর্ষণ করা হয়েছে।অথচ এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি সেই সময়ে। মামলায় শিশুটিকে অসুস্থ দেখা হলেও শিশুটি সুস্থ স্বাভাবিক ছিল এবং মিঠাপুকুর উপজেলা হাসপাতাল সহ কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে ঐ মেয়েটিকে ভর্তি নেয়নি।কারণ, মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের কোন আলামত নেই বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এমনকি শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করার পর সাংবাদিক সহ অন্য কারো সাথে এখন পর্যন্ত মেয়েটিকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এত কম বয়সি একটি শিশুকে ধর্ষণ করার পর কিভাবে শিশুটি সুস্থ স্বাভাবিক থাকে সে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে অত্র এলাকায় সাধারণের মধ্যে।
পাড়ায় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, সার্ভেয়ার রুহুল আমিন একজন ভালো মানুষ। টাকা পয়সা কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে ধারণা করছেন তারা।
সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের কলেজ ও অনার্স পড়ুয়া দুই মেয়ে জানায়, আমার বাবাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর জানান, ধর্ষণের মামলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা