শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
21 Feb 2025 11:58 pm
![]() |
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিবেদক:- দিনাজপুরের হিলিতে রাতারাতি নোমান-মুন্না দুই ভাইয়ের খামারে প্রায় ১২০০ পোল্ট্রি মুরগি নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। খামারটিই ছিলো তাদের একমাত্র আয়ের উৎস, এখন তারা নিঃস্ব প্রায়। খামারটি পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। বিষাক্ত কোনকিছু গ্রহন করার কারণে এসব মুরগির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা এই কর্মকর্তার। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুর (মহিলা কলেজ পাড়ায়) নোমান ও মুন্না দুই ভাইয়ের খামারে এঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুই ভাইয়ের খামারে ছিলো ১৫ দিন বয়সের প্রায় ২ হাজার পোল্ট্রি মুরগি। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত খামারে মুরগিগুলো সুস্থ দেখেছে খামার শ্রমিক। পরে শুক্রবার সকাল ৮টায় খামার শ্রমিক গিয়ে দেখতে পাই প্রায় সব মুরগি মরে পরে আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই খামার করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এই দুই ভাই। রাতারাতি মুরগিগুলো নিধন করায় তাদের মাথায় হাত।
খামার শ্রমিকরা বলেন, আমি এই খামারে অনেক দিন ধরে কাজ করে আসছি এবং এখান থেকেই আমার সংসার চলে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকবার মুরগিকে খাদ্য-খাবার দিয়েছি। আমি রাত পর্যন্ত একটি মুগিরও অসুস্থ দেখিনি। আজ সকাল ৮ টায় খামারে গিয়ে দেখি প্রায় সব মুরগি মরে পড়ে আছে। তখন এলাকাবাসী সহ খামার মালিককে খবর দেয়।
এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, নোমান ও মুন্না দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে মুরগি খামার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। আজ ভোররাতে কে বা কাহারা তাদের খামারের মুরগিগুলো ধ্বংস করেছে, এটা মোটেই ঠিক করেনি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
খামারী মুন্না বলেন, গতকাল রাত ৮টায় খামারে মুরগি আমি ভাল দেখে এসেছি। আজ সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার খামারের প্রায় মুরগি মরে পড়ে আছে। রাতে খামারের সব পর্দা ফেলানো ছিলো। সকালে বেশ কয়েক জায়গার পর্দা উঠানো। পর্দার পাশে বিষের গন্ধ এবং এই পাশের সকল মুরগিই মারা গেছে। আমার এতো বড় ক্ষতি কে করলো? আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, সকালে খামারি খবর দিলে আমি আমার সহকারীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। মৃত মুরগির পোস্টমর্টেম করি। তবে তাদের শরীরে কোন রোগের আলামত পাইনি। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা ঢাকায় এর আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য পাঠাবো, তার আগে কিছু বলা যাবে না।