শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
11 Jan 2025 03:52 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ উত্তরাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশায় জবুথবু জনজীবন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। শহরের ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়ছে।
শীতের তীব্রতার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পলাশবাড়ীর বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা এখন জমজমাট। শহরের মার্কেট ও হাট-বাজার ঘুরে পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়ছে এমন দৃশ্য। বিশেষ করে এর সিংহভাগ ক্রেতাই হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন রিক্সা বা ভ্যানচালক ও বিভিন্ন শ্রমিকরা দেদার এ কাপড় কিনে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন।
পলাশবাড়ী শহরের গূলশান খ্যাত রাব্বীর মোরে কালিবাড়ি বাজারে জ্যাকেটসহ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় এসব ক্রেতাদের এসব গরম কাপড় কিনতে দেখা গেছে। পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধির কারণে বেশ স্বস্তিতে আছেন তারা। ফুটপাতের এসব দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা সস্তায় কিনছেন পুরোনো কাপড়। বিভিন্ন স্থানে পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, ছোট ও বড়দের ব্লেজার, বিভিন্ন ডিজাইনের মাফলার বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জ্যাকেট, ১০০-২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোটা গেঞ্জি, সোয়েটার ও চাদর পাওয়া যায় ১০০-৩৫০ টাকার মধ্যেই।
রিক্সাচালক ছালাম বলেন,দুইদিন প্যাডেলে চাপ দেওয়া যাচ্ছে না। রিক্সার ছাড়লে শিরশির করে শরীলোত বাতাস ঢোকে। আর গাউ কোনা ঝাঁকি দিয়ে উঠে। দুকনা ছলসহ বাড়িত চারজন খানেওলা। গরম কাপড় ক্রেতা শিমুল হাসান বলেন, কত দুদিন থেকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শহরের নামি-দামি মার্কেটে গরম কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তাই আয়ের সাধ্যমতে কেনার জন্য ফুটপাতে এসেছি।আরেক ক্রেতা সাদিকা কনা বলেন, হঠাৎ করে অতিমাত্রায় ঠান্ডা পড়ায় সবাই একসঙ্গে গরম কাপড়ের দোকানমুখি হয়েছে। কাস্টমারের ভিড়ে দোকানদাররা কাপড়ের দাম বেশি চাচ্ছে।
শহরের ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড় বিক্রেতা শহিদ হাসান বলেন, পুরাতন কাপড়গুলো কম দামে পাওয়া যায় বলে কাস্টমার পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষ, রিক্সা-ভ্যানচালক যাদের আয় কম তারাই এসব গরম কাপড় কেনেন বেশি। এসব পুরোনো গরম কাপড় বেশ আরামদায়ক বলেও জানান তিনি। আপেল মিয়া নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, মোকামে কাপড়ে দাম বেশি। কাস্টমার কিনতে আসলেই বলে বেশি দাম চাচ্ছি। আমরা তো চেষ্টা করি কম দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করি।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, উপজেলার ৮ টি ও ১ টি পৌর সভায় সরকারি ভাবে ২২ শ ও বেসরকারি ভাবে ৫ শ কম্বল পেয়েছি পৌর শহরের বিভিন্ন এতিম অসহায় দুস্তদের মাঝে ১ হাজার ৯০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বিতরণ করা হবে। পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পাপুল সরকার বলেন,গত দুদিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।পলাশবাড়ী উপজেলা মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই এতিম অসাহায় দুস্তদের নিকটে গিয়ে নিজের হাতে কম্বল বিতারণ করছেন।