বুধবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০২৫
09 Jan 2025 12:25 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:-অদ্য ৭ জানুয়ারি ২০২৫ সময় বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আধিপত্য আন্দোলনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক আদালতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ হোসেন বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী দিনহাটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ ফেলানীকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে।ফেলানীর লাশ ৫ ঘন্টা সীমান্তের কাঁটা তারে ঝুলে থাকে। বাংলাদেশের জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ফেলানী হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে তারা তাদের ক্যাঙ্গারু আদালতে লোক দেখানো বিচার কাজ শুরু করে।
ওই বিচারে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ ফেলানীকে কে হত্যার কথা স্বীকার করার পরও বিএসএফ তাকে দোষী সাব্যস্ত না করে বেকসুর খালাস দেয়। এরপর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী আরো বেপরোয়া হয়ে একের পর এক বাংলাদেশিকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে এখনও পর্যন্ত তারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার প্রতিবাদ করলে তারা সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসবে বলে আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। এমন অবস্থায় সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে না।
এ ব্যাপারে আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হতে। আমি আশা রাখি সরকার অবশ্যই ফেলানি হত্যা সহ সীমান্তের সকল হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করবে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক ও মোমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন বাংলাদেশের সভাপতি আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ খান, জাতীয় শক্তির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জনজোটের প্রধান সমন্বয়ক মোজাম্মেল মিয়াজী,ইউনাইটেড লেবার দলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার মুখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এলিন, নারী নেত্রী রেশমা আক্তার, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ রাকিব সিদ্দিকী জিহাদর প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক,মফিজুর রহমান লিটন,সদস্য সচিব,আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন