রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
16 Dec 2024 12:30 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-শুক্রবার ১৩ডিসেম্বর রাত ১০টায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগাড়ী ইউনিয়িনের ভুক্তভোগি সোহেল রানা নামের নিয়োগ বঞ্চিত এক প্রার্থী পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অভিযোগ এনেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি মৌখিক ও লিখিত বক্তব্যে দাবী করেছেন, এই নিয়োগ পরীক্ষা বিধি সম্মত হয়নি এখানে অনেক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছ।তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নেতৃত্বের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মহদয়ের নেতৃত্বে নিয়োগ বোর্ড করে পূনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোখিক ও লিখিত বক্তব্যে ভোক্তভোগি সোহেল রানা আরো বলেন, "আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ ছিলেন।গত ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাবার মৃত্যুর পর কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ী গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসিতেছি।এমতাবস্থায় গ্রাম পুলিশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে আমি নিয়োগপ্রার্থী হিসেবে ১৩ ডিসেম্বর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মহল্লাদার হিসেবে শারিরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর লিখিত পরীক্ষা দেয়ার জন্য উপজেলা হলরুমে অংশগ্রহণ করি।
সুন্দরভাবে লিখিত পরীক্ষা শেষে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।কিন্তু সকল পরীক্ষা সফল ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে নিয়োগ পরীক্ষা কমিটি ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে আমাকে উক্ত পদ হইতে নিয়োগ বঞ্চিত করে।আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের কাছে দৃঢ়তার সাথে বলছি নিয়োগ পরীক্ষা যদি অনিয়ম-দূর্নীতি মুক্ত ও স্বচ্ছ হয় তাহলে আমার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সাথে যে কোন জায়গায় পরীক্ষা দিয়ে আমি উত্তীর্ন হব।আমি আপনাদের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ উদ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় পলাশবাড়ী উপজেলা হলরুমে পলাশবাড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৬টি শূণ্য পদে সরাসরি মহল্লাদার নিয়োএবং ২ টি পদে দফাদার(পদোন্নতি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।