শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
24 Dec 2024 05:02 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার একটি ছ’মিলে অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক চোরাই ইউক্যালিপটাস গাছ জব্দের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এ ব্যাপারে পুলিশ, বনবিভাগ বা উপজেলা প্রশাসন নিরব-নির্বিকার থাকায় জনমনে চরম ক্ষোভ ও আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরশহরের কালুগাড়ি জনৈক রতন মিয়ার ছ’মিলে অভিযান চালায় পুৃলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
পরে দীর্ঘ ২ ঘন্টা অপেক্ষার পরেও অভিযুক্ত ছ’মিল মালিক সেখানে হাজির না হওয়ায় গাছ গুলো জব্দের আদেশ দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদার। এসময় পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু উপস্থিত ছিলেন।
তারা চোরাই গাছের ছবি ও ভিডিও ডুকমেন্টারী তৈরী করে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেই সাথে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের জব্দকৃত একটি গাছও না সরানোর আদেশ দেন।
এদিকে ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদার বলেন, চোরাই গাছ উদ্ধারের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবেন।
গাইবান্ধা জেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.এইচ.এম শরিফুল ইসলাম মন্ডল বলেন,গাছ গুলো যারা লাগিয়েছে, তারাই কর্তন করেছে। বিষয়টি যেহেতু পৌর সভা এলাকার,সেহেতু পৌরসভা কতৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে, চিঠি দিলে আমি ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি বন বিভাগের দায়িত্ব,তারাই ব্যবস্থা নেবে।
কে বা কারা পৌর শহরের কালুগাড়ী-জগরজানী সড়কের দুৃধারে রোপিত গাছ গুলো অবৈধ্য ভাবে কর্তন করে ছ’মিলটিতে বিক্রি ও মজুদ করেছে এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।