বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
25 Dec 2024 07:30 pm
কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাতের আধারে চোরের হানায় প্রধান অফিস সহকারী, ক্যাশিয়ার, পরিসংখ্যান ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অফিস সহকারীর কক্ষের আলমারি, লকার, টেবিলের ডয়ার ভেঙ্গে বিভিন্ন জিনিসপত্র মূল্যবান কাগজসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়েছে।
গত বুধবার রাতের কোন এক সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভাগ এবং পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের দু’টি জানালার গ্রীল কেটে তিনটি সিসি ক্যামেরা উল্টে রেখে সংঘবদ্ধ চোরেরা তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ কক্ষের বিভিন্ন জিনিস ও কাগজপত্র তনছন করে নির্বিঘেœ চলে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে জানান, সংঘবদ্ধ চোরেরা বিভিন্ন জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করলেও কোন জিনিসপত্র খোয়া যায়নি। তাদের ধারণা টাকা-পয়সা চুরির উদ্দ্যেশে হয়তো বা চোরেরা বিভিন্ন আলমারি, লকার ও ডয়ার খুলে টাকা-পয়সা না পেয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে রেখে চয়ে যায়।
কাহালু হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আজিজুল হক জানান, আমার কক্ষে আমি ও ক্যাশিয়ার বসি। সকালে এসে দেখি আমার কক্ষের দরজা খোলা। কক্ষে প্রবেশ করে দেখি তিনটি আলমারি ও একটি লকারের তালা ভেঙ্গে ফেলে মূল্যবান কাগজপত্র ও বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। আলমারী, লকার ও টেবিলের সবগুলো ডয়ার খোলা। পরে দেখা যায় আমার পাশের কক্ষের অন্য অফিস সহকারীর কক্ষের দুটি আলমারি, পরিসংখ্যান কক্ষের একটি আলমারি, লকার ও টেবিলের ডয়ার খোলা এবং জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
অপরদিকে কাহালু উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন জাহান বিউটি জানান, তাঁর বিভাগের অফিস সহকারীর কক্ষের জানালার গ্রীল কেটে চোরেরা প্রবেশ করে চারটি আলমারি, একটি লকার ও বিভিন্ন টেবিলের ডয়ার খুলে বিভিন্ন জিনিস ও কাগজপত্র তছনছ করে ফেলে রেখে গেছে।
কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ নীল রতন দেব জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে জানানোর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মেরিনা আফরোজ ও কাহালু থানা পুলিশ পরিদর্শন করে গেছেন। সিসি ক্যামেরা উল্টে রাখার কারণে এখনো কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। তিনি আরও জানান, এখানে দু’জন নাইড গার্ডের পদ থাকলে দীর্ঘদিন যাবত এই দু’টি পদের লোক এখানে নেই। যার ফলে রাতের আধারে সংঘবদ্ধ চোর এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কাহালু থানার এস আই মাসুদ করিম জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।