মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
23 Sep 2024 12:30 am
যোবায়ের হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে সুলতান মাহমুদ (২১) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতান মাহমুদ গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনী গ্রামের মৃত আবেদ আলী প্রাং এর ছেলে।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও তার আপন মামা মোঃ আব্দুল হান্নান (৩৫), শেরপুর খানায় খবর প্রদান করে। রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সুলতান মাহমুদ ২০২৩ সালে শেরপুর ডিগ্রী কলেজ ইন্টারমিডিয়ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর আর সে কোন কলেজে ভর্তি হয় নাই। আমাদের এলাকার এক মেয়েকে পছন্দ করত তাহাকে বিয়ে করার পস্তাব পাঠানোর জন্য আমাদেরকে বলে কিন্তু লেখাপড়া শেষ না করে এবং তার নির্দিষ্ট কোন কর্ম না থাকায় আমরা তাহাকে বিবাহ করাইতে রাজী না হইলে সে পরিবারের লোকজনের প্রতি মান অভিমান করে এলোমেলো ভাবে জীবন যাপন করত। ঠিকমত সংসারে কাজকর্ম করত না। আমরা পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে তাহাকে অনুরোধ করলেও সে কাহারো কোন কথা না শুনে না। প্রতি দিনের ন্যায় গত ২ সেপ্টেম্বর রাত্রি অনুমান ১০ (দশ) ঘটিকার সময় পরিবারের লোকজনের সহিত রাতের খাবার যায় এরপর আমরা পরিবারের লোকজন যে যার ঘরে শুইয়ে পড়ি। সুলতান মাহমুদ আমাদের বসত বাড়ীর উত্তর দুয়ারী টিনশেড ঘরে তাহার শয়ন কক্ষের দরজা বন্ধ ওরে শুইয়ে পরে।
৩ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান ৭ (সাত) ঘটিকার সময় আমার আরেক ছোট ভাই সাজিদ ঘুম থেকে উঠে সুলতান মাহমুদ এর শয়ন ঘরের দরজায় ডাকাডাকি করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পাইলে আমরা পরিবারের অন্যান্য লোকজন শয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই সুলতান মাহমুদ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এ সময় আমাদের চিৎকার গুনিয়া আশপাশ হইতে লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজনের সহায়তায় আমরা সুলতান মাহমুদকে দ্রুত ফাঁস হইতে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য অটোরিক্সা যোগে শেরপুর উপজেলা যাহা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃতঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকাই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।