মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
25 Nov 2024 06:00 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকরা জানান, আগে রিচার্জ করা টাকা দিয়ে যে কয়দিন চলত, এখন তার চেয়ে কম দিন যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, ডিমান্ড চার্জ ও মিটারভাড়া তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া অযৌক্তিক।
বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বলা হয়, এক ফেজের মিটারের দাম সাত হাজার ৬০০ টাকা।
এর ভাড়া নেওয়া হয় মাসে ৪০ টাকা করে, যার ফলে ১০ বছরের কিছু সময় পর মিটারের টাকা পরিশোধ হয়ে যায়। আর ডিমান্ড চার্জ নেওয়া হয় প্রতি কিলোওয়াটে ৪২ টাকা।রাজধানীর নদ্দায় থাকেন হাসিবুর রহমান পিয়াল। তিনি বাসার মিটারে এক হাজার টাকা রিচার্জ করেন।
এর মধ্যে মিটারভাড়া বাবদ ৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৮৪ টাকা, ভ্যাট ৪৭ টাকা ৬২ পয়সা, সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এক হাজার টাকার মধ্যে তিনি পান ৮৩২ টাকা ৯২ পয়সা।তিনি বলেন, ‘গত মাসের ৭ তারিখে টাকা ভরেছিলাম। এ মাসের ১ তারিখ আসতে না আসতেই টাকা শেষ।
টাকা ভরতেই ফুরিয়ে যায়। এর আগের দুই মাস গরমের মধ্যেও এক হাজার টাকা ভরলে এক মাস ছয়-সাত দিন চলে যেত। কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার একই রকম থাকলেও এবার এক মাসও হয়নি।’উত্তর বাড্ডার বৈশাখী টেলিকমের স্বত্বাধিকারী আজিজুল হাকিম মুন্না বলেন, ‘ডিমান্ড চার্জ কিসের জন্য নেয়? মিটারের সার্ভিস করতে হয়?’
বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি ভাড়াটিয়া। এখন এক বাসায় আছি, কাল আরেক বাসায় চলে যাব, কিন্তু টাকা রিচার্জের সঙ্গে কেন মিটারভাড়া দিতে হবে? এটা দেবেন বাসার মালিক।
মিটারের ভাড়ার বিষয়ে ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী (এসঅ্যান্ডডি অপারেশন) মো. মনজুর হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মিটার প্রস্তুতকারী কম্পানির পক্ষে বলা হয়—একটি মিটারের লাইফটাইম ১০ বছর। ৪০ টাকা করে নিলে ১৭০ মাস, যা ১০ বছরের ওপরে চলে যায়। এরপর মিটারের দাম উঠে যায়। কিন্তু তারপর আসলে মিটারের ভাড়া নেওয়া বাদ দেওয়া হয় না। এটা নীতিগতভাবেই সিদ্ধান্ত রয়েছে। এখন নতুন করে যেসব মিটার দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের আর ভাড়া দিতে হয় না। একই সঙ্গে সিকিউরিটির টাকা নেওয়া হয় না।’
ডিমান্ড চার্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রাহক যে পরিমাণ আবেদন করেছেন, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ কম্পানি রেডি রাখতে বাধ্য, সে ক্ষেত্রে কিলোওয়াটপ্রতি ডিমান্ড চার্জ নেওয়া হয়।’
কালের কণ্ঠের