শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
15 Nov 2024 02:01 am
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুরঃ- সদ্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ফেসিস হাসিনা সরকারের দূশাসনের সময় মামলা হামলা মাথায় নিয়ে
বুকের মাঝে চাপাকষ্ট নিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জননেতা এডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।সর্বশক্তি সম্পন্ন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও বারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সারাদেশে বিএনপি যখন নিস্তেজ হলেও তিনি ঠিক সেই সময়টাতে শক্ত হাতে ধরে রেখে জামালপুরে বিএনপির সকল কর্মসূচি ও আন্দোলনকে সফল করেছেন তিনি।
আওয়ামী সরকার দলীয় নানান গায়েবি মামলা ও হামলার শিকার হয়েও আন্দোলন সংগ্রামে অটল ভূমিকা পালন করেছেন আপোষহীন ভাবে।জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে সারা জেলায় বিএনপির তৃণমূল হতে জেলা পর্যায়ে সংগঠন কে সুসংগঠিত করেছে এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
জামালপুর জেলা বিএনপির একমাত্র কান্ডারী এডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন। জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে একাধিকবার জামালপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে কুড়িয়েছেন অজস্র সুনাম। দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রিয় এই মানুষটির ডাকে সাড়া দিয়ে জামালপুর জেলা বিএনপিকে আজও ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করতে পেরেছেন।
অপরদিকে জানা যায়,স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মূলে কারণ হলো হাইব্রিড কিংবা নব্য আওয়ামী লীগাররা।তেমনি জামালপুর জেলা জুড়ে দৌরাত্ব রয়েছে কথিত বিএনপির নেতাকর্মীদের।যারা আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকারে থাকাকালীন সময়েও তাদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে হাইব্রিড বিএনপি কতিপয় নেতারা গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ভূমিদস্যুতা, দখল বানিজ্য থেকে শুরু করে সব অপকর্মে ছিল তাদের পদচারনা।শহরের সমস্ত মজুদদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে তারা গড়েছে শক্ত সিন্ডিকেট। যা বর্তমানে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে কালোছাঁয়ার সৃষ্টি শুরু করেছে।
বিএনপির একাধিক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মী জানান, বিএনপির দুঃসময়ে যেসব নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সাতে আঁতাত করে মামলা হামলা থেকে বাঁচা, ভূমিদস্যুতা,দখল বাণিজ্যসহ ঠিকাদারী,বাজার সিন্ডিকেট করে সরকার দলের সকল সুবিধাভোগ করেছে তারাই এখন বিএনপির ক্ষতির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।প্রতিনিয়ত দলের মধ্যে কোন্দল ঢুকানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে অনেকটা বিরোধী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মতো।
তারা আরও বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নয়, সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের সাথে মুখোশধারি ঐসব বিএনপির নেতাকর্মীদের ছিল ঘনিষ্টতা।বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের একত্রিত কর্মযজ্ঞের বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হযেছে যা সকলেরই জানা। বিএনপির মতার্দশের হয়েও এসব নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সুরক্ষা কবজ হয়ে কাজ করেছে বলেও দাবি তাদের।
আওয়ামী লীগের লুটেরা বাহিনীর সাথে আঁতাত করে চলাসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বিভিন্ন সময় বহিস্কৃত কতিপয় নেতাই এখন জামালপুর জেলা বিএনপি’র সুসংগঠিত পরিবারে বিষ ঢালতে শুরু করেছে। নিজ দলের কথা চিন্তা না করে কোন এক প্রভাবশালী নেতার সান্নিধ্যে পেশি শক্তি প্রয়োগের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে একটি মহল। সরকারি কিংবা বিরোধী দল যে অবস্থাতেই তারা থাকুক দলীয় লোকদের সাথে বিনিময় করে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির একাধিক কর্মীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন মাইকিং এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহবান জানান। ঠিক সেই সময়ে আওয়ামী লীগের সুবিধা নেওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কতিপয় বিদ্রোহী নেতাদের কেউ মসজিদের মার্কেট বেদখল, কেউ নগদের ব্যবসা, ঠিকাদারি ব্যবসা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেদখলে ব্যস্ত ছিলেন। তারাই এখন জেলা বিএনপির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। জননেতা মামুনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মাঠে নামা বিদ্রোহীদের বিগ বাজেটে মাঠে নামিয়েছেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের এক নেতা। ওই নেতা বিগত কয়েক বছরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন।
দলটির তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমান হামিদী ও রফিকুল ইসলাম বকুল জানান, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরাই বিদ্রোহী এসব নেতাদের বিরুদ্ধে ১৭ বছরে কখনো কোন মামলা হয়নি।তারা চাকুরিসহ চুটিয়ে ব্যবসা করলেও বিএনপির ত্যাগী নেতাসহ আমরাও গত ১৭ বছরে একদিনও শান্তিতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি।নেতার বিরুদ্ধে মামলার ওয়ারেন্ট থাকার পরও নিজের কথা না ভেবে বিপদগ্রস্ত এসব নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশে ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
যুবদলের তৃণমূল নেতা মেহেদী হাসান কনক সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে কিছু কথিত নামদারী বিএনপির নেতাকর্মী। দুই নৌকায় পা দিয়ে থাকা এসব নেতাকর্মী কালো টাকার ক্ষমতায় হতে চান ক্ষমতাসীন। তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার আওয়ামী পতিত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের জামালপুর নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
দীর্ঘদিন বাড়ি ঘর ছেডে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।আমাদের আশা ভরসা একমাস আশ্রয়স্থল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, ওয়ারেছ আলী মামুন। তাঁর মাথায় হাজারো রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের জামিনের সব ধরনের ব্যবস্থা করছেন।এক কথায় তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিবেদিত প্রাণ। এর পরও এ ত্যাগী নেতাকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি কুক্ররীমহল।
বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের মধ্যেও প্রকাশ্যে কোন্দল তৈরী করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট কতিপয় বিএনপি নামদারী নেতা। ,
জেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি আব্দুল হালিম জানান, জামালপুরে আধিপত্য বিস্তারে নিজের অনুসারীদের নেতৃত্বে আনতে মরিয়া কেন্দ্রীয় এক নেতা।তারই ধারাবাহিকতায় সুবিধাবাদীরা সিঁড়ি খুঁজছে শীর্ষ নেতৃত্বে যাওয়ার।এই সুবিধাভোগীদের যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দলের যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের। যা আগামী দিনের আন্দোলন কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে দাবি তৃণমূল ও জেলা বিএনপির নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের।