বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
22 Nov 2024 12:47 am
৭১ভিশন ডেস্ক:-শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।সোমবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ব্রিফিংয়ে ক্যারিনকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, তাঁকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের খবরে অভিযোগ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বাধ্য করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের একটি দ্বীপ ওয়াশিংটনের হাতে তুলে না দেওয়ার কারণে তাঁর (শেখ হাসিনা) এমন পরিণতি।
দ্বীপটি দিতে রাজি হলে তিনি হয়তো ক্ষমতায় টিকে যেতেন। এমন অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে ক্যারিন বলেন, ‘এসবের পেছনে আমরা জড়িত নই। মার্কিন প্রশাসনের জড়িত থাকা নিয়ে যেকোনো প্রতিবেদন বা গুঞ্জন ডাহা মিথ্যা, একদমই সত্য নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের জন্য এই পছন্দ বেছে নিয়েছেন।
আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে সরকারের ভবিষ্যৎ দেশের মানুষই নির্ধারণ করবেন। এটাই আমাদের অবস্থান। তাই এমন কোনো অভিযোগ করা হলে আমি এখানে যা বলেছি, সব সময়ই তা বলব, এটা একদমই সত্য নয়।’
গত রবিবার ভারতের দ্য প্রিন্টসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার একটি বার্তার বরাতে খবর এসেছিল যে তিনি বলেছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দিতে রাজি হননি বলেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
আর এর পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটু আগে তাঁর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা ঢাকা ছাড়ার পরে এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদেরে ওপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ক্যারিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। মানবাধিকার ইস্যু থাকলে প্রেসিডেন্ট পরিষ্কারভাবে কথা বলেন। এখন এ রকম কিছু নেই।’
কালের কণ্ঠ