শুক্রবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৪
21 Nov 2024 06:25 pm
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সকল মানুষকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়েছে জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক কবি,ঔপন্যাসিক ও কলামিস্ট কাজী ছাব্বীর। এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছিলো বাংলাদেশ।
তবে দেশের মানুষ সম্পুর্ন ভাবে স্বাধীনতা পায়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় সরকার বা সেনা শাসক ক্ষমতায় এসে ভিন্ন মতের মানুষদের উপড়ে দমনপীড়ন চালিয়েছে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য। ইতিহাস সাক্ষী, জনরোষে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
এরই মধ্যে গত ১৫ বছর একটি দানবীয় সরকার দেশের মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। নিজ দলের লোকজনদেরকে মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে অপরদিকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পরিকল্পিত ভাবে বৈষম্য তৈরি করে জেল জুলুম নিপীড়নের মাধ্যমে পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছিলো।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করে গণমানুষের কথা বলার অধিকার, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, কেড়ে নিয়ে লুটপাট এবং ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে ভিন্ন মতের রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করে, জেল জুলুম অত্যাচারে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে, দানবীয় কায়দায় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার উম্মাদনায় লিপ্ত হয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামিলীগ।
দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া দেশে সাধারণ মানুষের নুন্যতম স্বাধীনতা ছিলো না। ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পালায়নের মাধ্যমে ২০২৪ সালে দেশের মানুষ সম্পুর্ন স্বাধীনতা ফিরে পেল বলে আমি মনে করছি। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সবায় বাংলাদেশী হিসেবেই দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে পাক বাহিনীকে পরাস্থ করে দেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের সাহায্য সহযোগিতা অনস্বীকার্য। এখন দেশ গড়ার সময় এসেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অতি উৎসাহি হয়ে একটি চক্র বিভ্রান্ত ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আক্রমণ করে আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পরিকল্পনা করতে পারে। এসব জনহিতকর কর্মকাণ্ড থেকে সবায়কে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কাজী ছাব্বীর।
তিনি বলেন দেশের মালিক জনগণ। দেশটা আমাদের সকলের। আমরা সবায় বাংলাদেশী, জাতপাত ধর্ম বর্ণ বিভেদ সৃষ্টি না করে একে অপরের বন্ধু হিসেবে মিলেমিশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সবায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।