বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৪
22 Nov 2024 01:03 pm
পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: অন্তরে আগুনের জ্বালা সাড়ে পনেরো বছরের নির্যাতনের জ্বালা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই সাড়ে পনেরো বছরে ৩২ টি ঈদ আমাদের কাছে থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ঈদ উদযাপন করতে পারে নাই। খুন গুম হত্য ধর্ষণ, লুন্ঠন সীমাহীন নির্যাতন জুলুম গোটা জাতির শ্বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
আল্লাাহ তা’আল্লার অশেষ রহমতে গত ৫ তারিখ মানুষকে শ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে। এঁকে প্রথমেই বলছি বাংলাদেশের দ্বিত্বীয় মুক্তিযুদ্ধ। এ যুদ্ধের মহানায়ক আপনাদের সন্তান আমাদের সন্তান শহীদ আবু সাঈদ। আমার পক্ষ থেকে আমার দলের পক্ষ থেকে আবু সাঈদের প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমরা এসেছি তার মা বাবার মুখ দেখতে।
আমরা এসেছি তার আপন জনের মুখ দেখতে। সেই গর্বিত সন্তান যে জাতিকে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য হাত দুটো পাখির ডানার মতো দুদিকে দিয়ে বুক চেতিয়ে বলেছিল বুকের ভিতর তীব্র জ্বালা তোদের ইচ্ছে হলে আমার বুকে গুলি কর। আপনাদেরকে অভিনন্দন। যুব সমাজকে অভিনন্দন। তোমাদের প্রতি অনুরোধ ছেড়ে দিওনা জাতীকে। তীক্ষè চোখ দিয়ে রাখো জাতীকে আগামীতেও যেন কেউ সৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে। আগামীর বাংলাদেশ যেন হয় সৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ। জুলুম মুক্ত বাংলাদেশ। ইনসাফের বাংলাদেশ।
জাতীর এ ক্লান্তীলগ্নে বিপদে আপদে আমরা যেন আপনাদের পাশে থাকতে পারি আমাদেরকে দোয়া করবেন। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শহীদ আবু সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে এ সব কথা বলছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান।তিনি এ সময় আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলেন।
পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, আমাদের কলিজার টুকরো যুবসমাজ যারা আত্মত্যাগ করেছে, ঙ্গু হয়েছে,দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যারা নিহত হয়েছে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আল্লাহর দরবারে দু’আ করছি।
আমরা এসেছিলাম আমাদের নৈতিক ঋণ পরিশোধ করতে। এই এলাকায় এই পরিবারে এমন একটা গোলাপ ফুল আল্লাহ দিয়েছিলেন যে গোটা জাতির ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছে। সে শুধু বাংলাদেশ নয় সে গোটা দুনিয়াবাসীর সম্পদ। এই আবু সাঈদ নিজেই একটা ইতিহাস।তার সাথে কোন ইইতহাস জোড়া দেওয়ার প্রয়োজন নাই। যারা শহীদ হয়েছে তারা প্রতেকেই একটা ইতিহাস । আমরা এখান থেকে শিক্ষা নিব ।
আগামী দিনে রাষ্টীয় পর্যায়ে আবার যেন সৈরাচারী, জুলুমবাজ কোন সরকার না আসে সেজন্য যুবকদেরকে সোচ্চার থাকতে হবে। দেশবাসীর প্রতি কি আহব্বান রাখবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে যাতে কেউ এই আন্দোলনের এই বিপ্লবের ফল হাইজ্যাক করতে না পারে। সে কোন শক্তি হোক আমরা কাউকে মেনে নিব না। আমরা প্রত্যেকেই পাহারাদার হিসেবে জাতীর অধিকারকে বাঁচিয়ে রাখবো।
আসুন আমরা একসাথে যুদ্ধ করি। আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিপ্লব করেছে আমাদের যুব সমাজ। আমি পেসিডেন্ট হাউজে বলেছিলাম এ আন্দোলনের ফাস্ট এবং লাস্ট হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ সুতরাং তাদের সাথে কথা বলে আগামীর দিক নির্দেশনা নিতে হবে,পথ গড়তে হবে। তিনি কথা রেখেছেন।
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর