সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪
26 Nov 2024 02:03 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লিগও ইসরাইলের সঙ্গে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোনো ভূমিকা নিতে পারে না।গাজায় ইসরাইলি হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের পক্ষে সব সময় সমর্থন দিয়ে আসছে।এর বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া আর কোনো দেশকেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে না।
পুরো বিশ্ব যেখানে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব, সেখানে এসব আরব দেশ ও তাদের সরকারপ্রধানরা শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে দায় সারছেন। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হলেও তা ঠেকাতে তেমন কিছুই করছে না এসব দেশ।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাঁচ আরব দেশের শীর্ষ জেনারেলরা। তাদের এ আচারণকে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে চুরি মারার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে বাহরাইনের মানামায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান ও মিসরের শীর্ষ জেনারেলরা। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।এ বৈঠকের আয়োজন করে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দেখভালে নিয়োজিত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।এ বৈঠকে ইসরাইলি সেনাপ্রধান জেনারেল হার্জি হালেভি এবং মার্কিন জেনারেল মিশেল এরিক কুরিল্লা উপস্থিত ছিলেন।
গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধের জেরে আরব বিশ্বে সৃষ্ট সংবেদনশীল রাজনৈতিক আবহে এ বৈঠকের বিষয়ে কোনো পক্ষই জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। কিন্তু প্রকাশ করা না হলেও ইসরাইলের সঙ্গে আরবদের এ বৈঠককে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, এ খবর ফাঁস হতেই আরব বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।ফিলিস্তিনি জনগণের তীব্র দুর্ভোগের এ সময়ে ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলির এ রকম দহরম মহরম সম্পর্কের নিন্দা করছেন মানুষ।অনেকে এই বৈঠকটিকে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিরঙ্কুশ সমর্থন এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্বার্থকে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সামি আল- আরিয়ান বলেন, যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে এটি অন্য যেকোনো কেলেঙ্কারিকে ছাড়িয়ে যাবে। এটি এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও পাঁচ মার্কিন আরব মিত্রদের সম্পৃক্ততার নজির।