শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
23 Nov 2024 11:03 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৬ রান। হাতে তখনও ৫ উইকেট। আর উইকেটে ছিলেন জাকের আলি অনিক এবং সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে সেখান থেকে মাত্র ১৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। এতে শেষ ওভারে গিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান, হাতে মোটের ওপর এক উইকেট।
অকল্পনীয় কিছুর অপেক্ষায় থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা শেষ পর্যন্ত লজ্জার সিরিজ পরাজয়কেই সঙ্গী করল। স্বাগতিকদের সঙ্গে ৬ রানে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ তুলে যুক্তিরাষ্ট্র। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। রানের খাতার খোলার আগেই ইনিংসের চতুর্থ বলে উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকার। সৌরভ নেথ্রালভাকারের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৫ বলে ১৯ রান করে বোল্ড হয়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার।
এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। এই জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রান তোলে বাংলাদেশ। একপ্রান্তে কিছুটা ধীরগতিতে এগোলেও উইকেট থিতু হচ্ছিলেন শান্ত। তবে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় টাইগার দলপতিকে। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস সাজান শান্ত।
এক ওভার পর দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও বিদায় নিয়েছেন। দলীয় ৯২ রানের মাথায় ২৫ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর রিয়াদ আর সাকিবের জুটিতে সিরিজে ফেরার আশা বুনেছিল টাইগার সমর্থকরা। তবে এদিন উইকেট টিকতে পারেননি রিয়াদ। ৪ বলে ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন মিস্টার সাইলেন্ট কিলার।
শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংসের আভাস দিয়েছিলেন সাকিব। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়েও গিয়েছিলেন। তবে নাটকীয়তা তখনও বাকি। টানা দুই ওভারে সাকিব আর জাকের প্যাভিলিয়নে ফিরলে চাপে পড়ে টাইগাররা।
শেষ দুই ওভারে ১৫ রান নিতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ভরসা রিশাদ দুর্দান্ত কিছু করতে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত ৬ রানের পরাজয়ে ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে সিরিজও হেরে যায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্টিভেন টেইলর এবং মোনাঙ্ক প্যাটেলের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলে যুক্তরাষ্ট্র।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে টাইগারদের প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন রিশাদ হোসেন। ২৮ বলে ৩১ রান করে টেইলর এবং পরের বলে রিশাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন অ্যান্ড্রিস গাউস।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে অ্যারন জোন্সকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোনাঙ্ক প্যাটেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পূরণ করে স্বাগতিকরা। তবে ইনিংসের ১৭তম ওভারে জোন্সকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মোস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন জোন্স।
এরপর মোনাঙ্ক প্যাটেলকে সঙ্গ দেন কোরি এন্ডারসন। ১০ বলে ১১ রান করে এন্ডারসন আউট হলে ৩৮ বলে ৪২ রান করে তার দেখানো পথে হাটেন মোনাঙ্ক। এই দুই ব্যাটারকে বোল্ড আউট করেন শরিফুল ইসলাম। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক হারমীত সিং (০)।
শেষ দিকে নিতিশ কুমারের ৩ বলে ৭ রান এবং শ্যাডলি ফন শ্যালকউইকের ৪ বলে ৭ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের লড়াকু পুঁজি পায় যুক্তরাষ্ট্র।