বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
22 Nov 2024 03:03 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- কথায় আছে স্বভাব যায় না মলে, খাছলত যায় না ধুলে। প্রবাদ বাক্যের সঙ্গে যেন নিবিড় মিল বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর চিরশত্রু আমেরিকার কাছে সহায়তা চেয়েও সাড়া পায়নি তেহরান। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এ তথ্য জানালেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিস্তারিত না বলার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে তারা সেটা দিতে পারেননি।
এদিকে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র শোক জানালেও রাইসির হাতে ‘রক্ত’ লেগে আছে উল্লেখ করে- ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার হাতে প্রচুর রক্ত ছিল, রাইসি ইরানে ‘নৃশংস’ অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী এবং হামাসসহ আঞ্চলিক প্রক্সিদের সমর্থন করেছিলেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই তেহরান-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র।
ম্যাথু মিলার শুধু বলেন, রোববার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেন। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকেও সাহায্য করতেন। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ইরান এখন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিচ্ছে।এ অবস্থায় ইরানের জনগণ ও তাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার সমর্থন জানাচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসন বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা।এটি রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না।রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কঠোরভাবে দমন করেছেন নারীদের গণ–আন্দোলন।
আরটিভি নিউজ