বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪
22 Nov 2024 07:10 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।এই ধরনের ব্যাটিং আমরা টিভিতে দেখেছি। এটা অবাস্তব ব্যাটিং’- ম্যাচ শেষে বলছিলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।কারও চোখে প্লে স্টেশনের গেম হয়ে ধরা দিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং।অবাস্তব ব্যাটিংই যেন করলেন ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা।পুরো ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে এই দুই ওপেনারের মধ্যে। কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতা হয়েছে। আর তাতে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে লখনৌকে।
বুধবার (৮ মে) রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ তুলে লখনৌ। দলের হয়ে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন আয়ুশ বাদোনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ দশমিক ৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকেরা। দলের ১০ উইকেটের জয়ে ৩০ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন হেড।
লখনৌর ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই বিধ্বংসী ভঙ্গিমায় ব্যাটিং করতে থাকেন হেড ও অভিষেক। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯ দশমিক ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
শেষ পর্যন্ত ৮টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ বলে ৮৯ রান করেন হেড। অন্যদিকে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ২৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংস সাজান অভিষেক। লখনৌর হয়ে কোনো বোলারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এলো প্যাট কামিন্সের দল। অন্যদিকে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট ও মাইনাস ০ দশমিক ৭৭ নেট রানরেট নিয়ে ছয় নম্বরে রইল লখনৌ।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনৌ। দলীয় ১৩ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাবধানী মেজাজে ব্যাট করতে থাকা কুইন্টন ডি কক। ভুবনেশ্বরের বলে নীতিশের মুঠোবন্দি হওয়ার আগে ৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
এরপর ব্যাটিংয়ে এসে সমর্থকদের রীতিমত হতাশ করেন মার্কাস স্টয়নিস। দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই ভুবনেশ্বরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সানভির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ান-ডাউনে নামা টপ-অর্ডার এই ব্যাটার।
টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দ্যুতি ছড়িয়েছে মিডল-অর্ডার। ব্যাটিংয়ে নেমে রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়েন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তারা। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে সমান একটি করে ছক্কা ও চারে রাহুলের ব্যাট থেকে ২৯ এবং ২ ছক্কায় ক্রুনালের ব্যাট থেকে ২৪ রান আসে।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ুশ বাদোনিকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নিকোলাস পুরান। তাদের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে লখনৌ। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভীতও পায় দলটি।
শেষ পর্যন্ত পুরানের ১ ছক্কা ও ৬ চারে ২৬ বলের অপরাজিত ৪৮ আর বাদোনির ৯ চারের মারে সাজানো ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬৫ রানের পুঁজি পায় লখনৌ।