সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪
25 Nov 2024 01:05 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাত্তা পেলো না জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে আজ ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৯ বল হাতে রেখে টাইগাররা জিতেছে ৬ উইকেট। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারীদের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লাল-সবুজের দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে।দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গুম্বি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ।দলীয় ১৫ রানে ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মারুমানি।তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ক্রেইগ এরভাইন।রভাইনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুম্বি। এরপর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও রিশাদ হোসেনের বোলিং তোপে বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ২৭ রান যোগ করতেই চার উইকেট হারায় তারা। গুম্বি ৩০ বলে ১৭, সিকান্দার রাজা ৮ বলে ৩, এরভাইন ১৬ বলে ১৩ ও ক্লাইভ মাদান্দে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর ব্রায়ান বেনেট ও জনাথন ক্যাম্পবেল মিলে বিপর্যয় সামাল দেন। ৭৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ২৪ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেলের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান লুক জংবি। শেষ দিকে বেনেটের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ ও তাসকিন নেন ২টি করে উইকেট।
এদিকে রান তাড়ায় শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে ৩৫ বলে ৪১ রান তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাস। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান তামিম অবশ্য ভালো করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৮ রানেই থামে তার ইনিংস। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।
নাজমুল হোসেন শান্তও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। ১৫ বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ১৬। লিটন দাস শুরুটা ভালো করলেও এরপর ফর্মে ফেরার চেষ্টায় বল নষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ২৩ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই রান আসে ১০ ওভারে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন টাইগার সমর্থকরা। বাংলাদেশ যে তখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে পিছিয়ে ছিল।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক। তবে তাদের জুটিটি টেকেনি ২৩ বলে ৩১ রানের বেশি। জাকের আলি বোল্ড হন ১২ বলে ১৩ করে। তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ১৬ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২৬ রানে মাহমুদউল্লাহ আর ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে আর ২ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।