বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
21 Nov 2024 06:57 pm
নারীর অন্তঃসত্ত্বার সময়টি খুবই জটিল। এ সময় ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসাসেবা পাওয়া তার অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ৩০ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ডাক্তারের সরণাপন্ন হয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সেই ডাক্তার।
বিষয়টি ডাক্তার নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে জানান। পোস্টটি ভাইরাল হলে তিনি বেশ সমালোচিত হচ্ছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের গুজরাত রাজ্যের বড়দোরায় এ ঘটনা ঘটে।
ডা. রাজেশ পারিখ নামে ওই ডাক্তার এক্স-এ লিখেন, ‘রোগীদের যেমন তাদের ডাক্তার বাছাই করার অধিকার আছে, তেমনি ডাক্তারদেরও জরুরি অবস্থা ব্যতীত চিকিত্সা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার আছে।’
এরপর তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আরও কয়েকটি পোস্ট করেন। সেখানে ঘটনার বিস্তারিত জানান।
ওই ডাক্তারের ভাষ্য, তিনি ৩০ বছর বয়সী ওই অন্ত্বঃসত্তা নারীকে বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, ওই নারী তার পরামর্শ মানছিলেন না।
ডাক্তার কী এমন বলেছিলেন যে নারী তা মানতে রাজি হননি? এ প্রশ্নেরও জবাব দেন ডাক্তার। তিনি বলেন, তাকে গর্ভাবস্থার রোগ নির্ণয়ে বেশ কয়েকটি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বলা হয়। এর মধ্যে এনটি স্ক্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো ছিল। যাতে গর্ভের শিশুর কোনো সমস্যা থাকলে আগেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু ওই নারী তার এক অচিকিৎসক বন্ধুর কথায় প্রভাবিত হন। সেই বন্ধুর কথামতো তিনি কোনোমতেই পরীক্ষাগুলো করাতে চাননি।
ডাক্তার বলেন, আমি অনেক বুঝিয়েও সফল না হয়ে তাকে বলেছি, ‘আপনি আরেক ডাক্তার খুঁজেন। যিনি আপনার কথামতো চিকিৎসা করাবে।’
ডাক্তারের এমন মন্তব্যে পোস্টটি এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ভিউ হয়েছে। অসংখ্য রিয়েক্ট পড়েছে। এক্স ব্যবহারকারীরা পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কমেন্ট করছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, কমিশন খাওয়ার জন্য ডাক্তার পরীক্ষাগুলো করাতে বলছেন না, বরং এসব পরীক্ষা আসলেই নারীর জন্য প্রয়োজন; বিষয়টি ওই নারীকে বোঝানো উচিত ছিল। তাহলেই আর কোনো সমস্যা হতো না।
আরেকজন লেখেন, রোগীকে আমি দোষ দেব না। ভারতের চিকিৎসাক্ষেত্রের ওপর আস্থাহীনতার নজির এটি। ‘ডাবল মার্কারের’ মতো পরীক্ষাগুলো ব্যয়বহুল। অনেক সময় ডাক্তার কারণ ছাড়াই কমিশন পেতে এসব পরীক্ষা দেন। তাই হয়তো রোগী দ্বিধান্বিত ছিলেন।