সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
23 Nov 2024 08:06 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- ইসরাইলে ইরান যে হামলা চালিয়েছে তা এক কথায় নজিরবিহীন। শুধু তাই না, গত কয়েক দশক ধরে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটিতে হামলা চালানো একমাত্র দেশও ইরান। এই হামলাকে অনেকেই ইসরাইলের নিষ্ঠুরতার শাস্তি হিসেবে দেখছেন; আবার কেউ কেউ এমনও মনে করছেন, ‘অজেয়’ ভাবমূর্তির ইসরাইলে সরাসরি হামলা চালিয়ে এতদিনের গেরো খুলে দিয়েছেন ইরানিরা। এই হামলা ভবিষ্যতে জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উৎসাহ যোগাবে। কিন্তু ইরানের হামলার ধরন এবং দেশটির নেতাদের বক্তব্যের পর অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন, এই হামলা কি সাজানো নাটক?
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর গত প্রায় আট দশকে ইরানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নানান চড়াই-উৎরাইয়ের ভেতর দিয়ে গেছে; কখনো বন্ধুত্ব, আবার কখনো চরম শত্রুতা। তবে গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। যার সবশেষ রূপ দেখা গেল গত শনিবার রাতে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাল ইরান। এই হামলায় কয়েকশ কামিকাজি ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করেছে তারা। বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, তাতে ইরানের ভূখণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সক্রিয় প্রক্সি গ্রুপগুলো মিলে প্রায় সাড়ে তিনশ ড্রোন এবং মিসাইল ছোড়া হয়েছে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনার পর থেকেই প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলো ইরান। দুই সপ্তাহ পর তারা সেই প্রতিশোধ নিলো। কিন্তু যেভাবে হামলা চালানো হলো এবং হামলার আগে-পরে ইরানের কূটনৈতিক কলাকৌশল থেকে প্রতীয়মান হয়, এই হামলা যতটা না শত্রুপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য, তার চেয়ে বেশি মুখ রক্ষার জন্য!
হামলার পরপরই বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ব্রিফিং করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি তাদের বুঝান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে হামলাটি তারা করেছে সেটি তাদের ন্যায্য অধিকার।
তিনি বলেন,হামলার ৭২ ঘণ্টা আগেই প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানানো হয়েছিল। আমেরিকাকেও তারা জানিয়েছিলো যে, এই হামলা হবে সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত। হামলার পর তারা আর উত্তেজনা বাড়াতে চান না।
তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স বলেছে, ইসরাইলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন আগেই দেশগুলোকে বিস্তৃত নোটিশ দিয়েছিল ইরান। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল।
তুরস্ক একদিকে ইরানের প্রতিবেশী অন্যদিকে ন্যাটোর সদস্য। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানে তুরস্ককেই বেছে নিয়েছিল ইরান। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, তুরস্কের মাধ্যমেই আমেরিকার মনোভাব সম্পর্কে ধারনা নিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সিগন্যাল পেয়েই তারা হামলা চালিয়েছে।
সবমিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে, ইরানের হামলা অতর্কিত ছিল না। তারা তথ্য দিয়েই হামলা চালিয়েছে এবং বড় ধরনের কোনো ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যও তাদের ছিলো না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যই দেশটির অফিসিয়াল অবস্থান। এর বাইরে ইরানের সামরিক এবং বেসামরিক নেতারা যেসব উত্তেজক বক্তব্য দিচ্ছেন সেগুলো মূলত ইরানের জনগণ এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানপন্থী প্রক্সিদের উদ্দেশে।
ইরান এবং ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীদের মধ্যে আছে: সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, জর্ডান, সিরিয়া, মিশর, কুয়েত ইত্যাদি। এরমধ্যে সিরিয়া ছাড়া সবগুলো রাষ্ট্রই আমেরিকার বন্ধু। এরা এমনকি গাজায় গণহত্যার ইস্যুতে পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে তেমন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এই দেশগুলোতে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন আছে। অফিসিয়াল অবস্থান যাই হোক, মুসলিম এই দেশগুলো ইসরাইল-আমেরিকার সঙ্গে লিয়াঁজো বজায় রাখার কৌশলী কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। অতএব এই দেশগুলোকে আগে থেকে হামলার তথ্য দিলে তারা যে বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে শলাপরামর্শ করবে তা সহজেই অনুমেয়। আর হামলার সময় ইসরাইল এবং আমেরিকার কৌশলই বলে দিচ্ছে- তারা ইরানের প্রতিবেশী সুন্নি দেশগুলোকে নিয়েই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল।
ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের সীমান্ত নেই। ইরান থেকে ইসরাইলে যেতে হলে অন্তত দুইটি দেশ পার হতে হয়। ইরাকের সীমান্তবর্তী ইরানের মেহের বর্ডার থেকে ইসরাইলের জর্ডান সীমান্তবর্তী বেইত জেরা এলাকার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ১১শ কিলোমিটার। গুগল ম্যাপ বলছে, প্রাইভেট কারে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে লাগবে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা। আর ইরানের বহুল চর্চিত ‘সাহেদ ১৩৬’ ড্রোনের এই পথ পাড়ি দিতে লাগবে প্রায় পৌনে ৬ ঘণ্টা! কারণ এই ড্রোনের গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার।
ইরান থেকে ইসরাইলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র যেতে হলে ইরাক, জর্ডান, সৌদি আরব, কুয়েত এবং সিরিয়া- এগুলোর যেকোনো দুটি দেশের আকাশের উপর দিয়ে যেতে হবে। ইসরাইলে হামলা চালাতে এই দেশগুলোর সরকার ইরানের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ করেনি। খুব স্বাভাবিকভাবে, হামলার সহযোগী না হলে কোনো দেশই অপর দেশে হামলা চালাতে নিজের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না এবং নিজ আকাশসীমা দিয়ে আক্রমণাত্মক কোনো কিছু যেতে বাধা দেবে বা ধ্বংস করবে। সেসব দেশে থাকা আমেরিকার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোও ইরানের ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করেছে।
হামলার পর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) রোববার এক আপডেটে জানিয়েছে, ইরাকের আকাশে প্রায় ৮০টিরও বেশি ড্রোন এবং কমপক্ষে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে মার্কিন বিমান ও জাহাজ বা আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এছাড়া ইসরাইলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই কয়েক ডজন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে জর্ডান।
অর্থাৎ সবকিছু দুই পক্ষের পরিকল্পনা মাফিকই হয়েছে। ইরান থেকে কয়েকশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলেও ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী, বন্ধুদের সহায়তায় এগুলোর ৯৯ শতাংশই তারা ভূপাতিত করেছে।
এছাড়া ইরানের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে এটাও নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, তারা কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না। ইসরাইলের যে ঘাঁটি ব্যবহার করে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলা চলানো হয়েছে সেটাই টার্গেট করবে তারা। অর্থাৎ অনেকটা বলেই দেয়া হয়েছে, কোথায় হামলা চালানো হবে।
এতে যা ঘটেছে তা হলো, ইরানের ড্রোনগুলোর প্রায় সবই ইসরাইলে ঢোকার আগেই ধ্বংস হয়েছে। ব্যালিস্টিক মিসাইলের কিছু ইসরাইলে পৌঁছলেও সেগুলো আকাশেই ধ্বংস হয়েছে। ক্রজ মিসাইলের কয়েকটি জেরুজালেমের একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে পেরেছে। ইসরাইল বলেছে, এতে অল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একজন কিছুটা আহত হয়েছে।
ইসরাইল যে তাৎক্ষণিক কোনো পাল্টা হামলা চালাবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই ইরান হামলা চালিয়েছে। তা নাহলে ইসরাইলের মতো আক্রমণাত্মক মনোভাবের দেশে হামলা চালিয়েও ইরানের সামরিক-বেসামরিক নেতারা এবং জনগণের মধ্যে কোনো ধরনের ভয়-ভীতি দেখা যায়নি। বরং হামলার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করেছে। হামলার পরদিন সকালেও তেহরানের সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল।
দেয়ালে পিঠ ঠেকা ইরানের কিছু একটা করতেই হতো
ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলের হামলা নতুন কিছু না। তবে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার পর নিজ দেশের জনগণ এবং বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকে প্রক্সিগুলোর দিক থেকে চাপে ছিলেন ইরানের শাসকরা। ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের দৃশ্যমান কিছু একটা করতেই হতো।
সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘পুরো হামলাটাই মোটামুটিভাবে জানিয়ে করা হয়েছে। যেখানে আমেরিকা জানত, ইসরাইলও জানত। তার মানে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা হয়েছে, আবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও এ ঘটনায় নিন্দা জানায়নি, সেই হিসাবে ইরানিদের মধ্যেও একটা জনমত তৈরি হয়েছিল যে, ইরানের কিছু একটা করা দরকার।’
‘সেই হিসাবে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে। কোনো হতাহত নেই এবং সবাই জানতো। বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ যাতে যেতে না পারে, এজন্য ইসরাইলের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয়, কোরিওগ্রাফ, অর্থাৎ সবাই জানত,’ যোগ করেন তিনি।
ইরানের হামলায় কে জিতল?
ইরান-ইসরাইল সংঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো আন্তর্জাতিক তেলের বাজার। তবে সেটা হয়নি। কারণ, ইসরাইলের পক্ষ থেকে পাল্টা পদক্ষেপের তেমন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
তবে এই ঘটনায় লাভবান হয়েছে ইরানের কট্টর ইসলামপন্থী শাসকরা বিশেষ করে ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খমেনি এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের জন্য এই ঘটনা ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এই হামলাকে ইরানের শাসকরা জনমত তৈরিতে ব্যবহার করবেন। একই সঙ্গে তাদের প্রক্সিগুলোকেও জাগিয়ে তুলবেন।
তবে এতে সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা যুদ্ধে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়ে যাওয়া এবং হামাসের হাত থেকে বন্দিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়াসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যুতে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন তিনি। তাই ইরানের হামলার ফলে ডানপন্থীদের আরও বেশি সমর্থন আদায় করতে পারবেন নেতানিয়াহু।
ইরানের হামলা ঠেকিয়ে দেয়াকে এরইমধ্যে বড় বিজয় হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন,
ইসরাইল এরইমধ্যে বলেছে যে, তাদের বিজয় হয়েছে। যেহেতু বড় আকারের অস্ত্রগুলো তারা ভূপাতিত করতে পেরেছে, তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আমেরিকাও সঙ্গে ছিল, কাজেই ইসরাইল ধরে নিয়েছে, তাদের বিজয় হয়েছে।
‘আবার বিজয় যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপাতত ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ করার কথা না। আমার মনে হয় না, এখানে বড় আকারের যুদ্ধ আমরা দেখতে পাবো। কারণ, অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি, এই যুদ্ধের কারণে যে প্রভাব পড়বে, এরপর সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, এই হামলা বাইডেনের নির্বাচনকে কতটা সহায়তা করবে, তা নিয়েও প্রশ্নও রয়েছে।’
ইরানের এই হামলাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও। তার জন্য ইসরাইলকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা দেয়ার অজুহাত হতে পারে এটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানের হামলা থেকে দুই নেতাই অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে লাভবান হতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় গণহত্যার পর ইসরাইলকে অস্ত্র না দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর থেকেই দাবি উঠছিল।
অধ্যাপক ইমতিয়াজের মতে, ‘আমেরিকার কংগ্রেস যেহেতু নতুন অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে, এই হামলার পরে সেই দ্বিধা আর থাকবে না। তাদের অস্ত্র বিক্রি করা সহজ হয়ে যাবে। সেই অস্ত্র বিক্রি, আর যুদ্ধের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। আবার মার্কিন কংগ্রেসেও ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিন জনগণের মধ্যেও ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা কতটুকু সক্রিয় থাকবেন–সেটাও দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, ইসরাইলকে যে প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দের কথা ছিল, সেটা অল্প সময়ের মধ্যে দিতে পারবে বাইডেন প্রশাসন।
অপরদিকে হামাস, ইসলামিক জিহাদসহ ইসরাইলের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মনোবলও নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। এই হামলার পর গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানার একটা পথও বেরিয়ে আসতে পারে।
বছরের পর বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা এবং নির্যাতনকারী ইসরাইলের শাস্তি পাওয়া উচিৎ বলে শুধু মুসলমানরাই নন, বিশ্বের বহু মুক্তিকামী মানুষই মনে করেন। ইরানের এই হামলাকে সেই শাস্তিরই একটা ঝলক বলে মনে হলেও আসলে তাদের প্রত্যাশার খুব একটা পূরণ হয়নি বলাই যায়। কারণ, ইসরাইলের একটি মিসাইলে ইরানের কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস হয়ে গেল, ৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জন মারা গেল। আর ঢাকঢোল পিটিয়ে এত বিশাল ড্রোন আর মিসাইলের বহর পাঠিয়েও ইসরাইলের তেমন কোনো ক্ষতিই হলো না!