৭১ভিশন ডেস্ক:- পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে চরম অবনতির পথে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট। এই অবস্থা পাকিস্তানকে আরেকটি ‘ঢাকা ট্র্যাজেডি’র দিকে নিয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া দেশ টিকে থাকতে পারে না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে আসা পিটিআই নেতাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

দ্য ডন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ঢাকা ট্র্যাজেডির দিকে পরিচালিত পরিস্থিতির সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান ঘটনাবলির মিল বা সমান্তরাল সংযোগ এঁকে ইমরান খান এই সতর্ক করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া দেশ এবং প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকতে পারে না বলেও শক্তি ও ক্ষমতার কেন্দ্রগুলোকে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইরান খান বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি। কারাগারে পিটিআই’র আইনি দল ইমরানের সঙ্গে দেখা করার পরে দেশটির জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক রওফ হাসান বলেন, কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালমান আকরাম রাজা, ইন্তাজার পাঞ্জুথা, শোয়েব শাহীন এবং নাঈম পাঞ্জুথা দেখা করেন।

ব্যারিস্টার রাজা বলেন, ইমরান খান দেশ ও জনগণের জন্য চিন্তিত হলেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

ইমরান খানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ব্যারিস্টার রাজা জানান, আপনি যখন জনগণকে তাদের অধিকার দেবেন না, তখন আপনি বলতে পারবেন না অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। ১৯৭০ সালে সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান ঝুলন্ত সংসদ চেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের দল যখন স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল, তখন সেনাবাহিনী জালিয়াতি করে উপনির্বাচন করে, যাতে ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। আর এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৮০টি আসন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।

ইমরান খানকে উদ্ধৃত করে ব্যারিস্টার রাজা আরো বলেন, ‘আমি হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা অতীতে যে ভুলগুলো করেছিলাম, এখনো সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছি। ১৯৭০ সালেও লন্ডন পরিকল্পনা ছিল এবং আজ আবারো লন্ডন পরিকল্পনার মাধ্যমে (জনগণের ওপর) সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ইমরান খান বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন- তিনি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। তার (ইমরানের) দাবি, এটিই দেশের স্বার্থে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হবে। 

সূত্র: দ্য ডন