বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
24 Nov 2024 05:01 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ জেলার পলাশবাড়ীতে একদিনের ব্যবধানে ২টাকার লেবু হয়ে গেছে ১২ টাকা। গতকাল যে লেবু ২ টাকায় বিক্রি হয়ছে মজানের ২য়দিন সেই লেবু ১২ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক রোজাদার।
বুধবার (১৩ মার্চ) পলাশবাড়ী শহরের কালিবাড়ী বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবুর দাম আকাশচুম্বি। মানভেদে হাইব্রিড জাতের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দামে। আর দেশিয় জাতের লেবু ৪০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজায় লেবুর শরবত অনেকের কাছে প্রিয় হলেও সেটি দামের কারণে অপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।স্থানীয় রোজাদাররা জানায়, রমজান মাসে গাপলাশবাড়ীতে নানা ধরনের নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেবুর দামও। রোজার শুরুতে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিপিস হাইব্রিড লেবু ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজার আগে এই লেবুর প্রতিপিস দাম ছিল ২-৩ টাকা।
মতিন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি জানান, ইফতারির সময় লেবুর শরবত পান করতে তিনি এক হালি লেবু কিনেছেন ৫৩ টাকা দিয়ে। আবার এসব লেবুর রসও কম। অথচ কিছুদিন আগে একই সাইজের লেবু ১২ টাকা হালিতে কিনেছিলেন। তাই এখন থেকে লেবুর শরবতের বদলে খাবার স্যালাইন অথবা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি লবন-চিনি মিশিয়ে পান করবেন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন তিনি।
শামিম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, রোজায় লেবুর পাশাপাশি বেগুন-শসা ও ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু গত বছরে এসব পণ্যের দাম কম থাকলেও এবার রমজান মাসে দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে।
খুচরা লেবু বিক্রেতা গোলাপ মিয়া বলেণ, এই সময়ে লেবুর আমদানি কম থাকে। দেশি জাতের লেবু খোঁজ মেলে না। কিছুটা হাইব্রিড লেবু পাওয়া যায়। তাই অধিক দামে কিনে প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা থেকে ৪০ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কয়েকটি হাইব্রিড জাতের লেবুর গাছ লাগিয়েছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন কম। তাই নিজের কিছুটা চাহিদা পূরণ করে অর্থের যোগান দিতে বাজারে লেবু বিক্রি করছি। পাইকারি মূল্যে এক হালি লেবু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছি।
গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।