বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
23 Nov 2024 08:19 am
ভোলা প্রতিনিধি:-দ্বীপ জেলা ভোলার উত্তরের ইউনিয়ন রাজাপুর, এ ইউনিয়নে কয়েকটি জুয়ার আসরে দিনরাত জুয়া খেলে একটি সংবদ্ধ গোষ্ঠী। এ জুয়ার আসর থেকে টার্গেট করে সিঁধকেটে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে চুরি করেন এ জুয়ারীরা। প্রভাবশালী একটি মহলের নেতৃত্বে জুয়ার আসর ও চুরি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। প্রতিনিয়ত এসব চুরির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বেড়েই চলছে এসব চুরি। চোরের ভয়ে দিনরাত নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে রাজাপুরের কয়েক হাজার মানুষ। চোরের থাবা থেকে রাজাপুরের অন্ধের শেষ সম্পদ গরু ও রক্ষা পায়নি।
সিঁধকাটা চোরে আতঙ্কিত রাজাপুরের মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গতরাতে রাজাপুরের দারোগাখাল বাজার সংলগ্ম ৫নং ওয়ার্ডের সাইদ ডাক্তারের ঘরে সিঁধকেটে গ্যাসের চুলা, চাল, মোবাইল, টাকা, স্বর্ণসহ সকল কিছু নিয়ে গেছে। একই দিনে রাজাপুর ২নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী মালের বাড়ীতে সিঁদকাটার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত ঈদুল আযহা থেকে অর্ধশতাধিক বাড়ীতে সিঁধকেটে ঘরের সকল মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে গেছে চোরের দলেরা।
এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন কোন প্রতিকার নেইনি। চোরের উপদ্রব বাড়ার কারন কি? এ চোর কারা এ নিয়ে কোন তদন্ত না হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলছে বলে জানিয়েছে অনেকে। তবে নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে স্থানীয়রা জানান, রাজাপুরের কয়েকটি স্পটে জুয়ার আসর বসে। সেই আসর গুলো ভেঙ্গে দিলেই চুরি কমে যেতো তবে যারা জুয়া খেলে তারা সবাই এলাকার প্রভাবশালী তাই কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। এদিকে সচেতন মহলের দাবী জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন এখন-ই চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাজাপুর হয়ে যাবে চোরের স্বর্গরাজ্য।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী জানান, জুয়ার আসর বন্ধে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। জুয়ার আসরের সুনিদিষ্ট তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, গত কয়েক মাস আগে এমন চুরি হওয়ার পর আমরা অভিযান করেছি, তখন থেকে কিছুদিন বন্ধ ছিলো। এখন আবারো শুরু হয়েছে। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি যারা এসব কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।