সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
26 Nov 2024 03:34 pm
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে ১৩ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকার বিষয়ে প্রারম্ভিক আলোচনা হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ তথ্য জানান।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান পিএসও।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ভোটের মাঠে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি মোট ১৩ দিন সেনাবাহিনী থাকার বিষয়ে প্রারম্ভিক আলোচনা হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি।
ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের ওপরে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। অবশ্যই সব সময় প্রস্তুতি আছে। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় ছিল, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ছিল।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেনাবাহিনী চাচ্ছে জানিয়ে পিএসও বলেন, উনারা চাচ্ছেন সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন করবেন। রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত দেন তবে অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। তারা যেভাবে সহায়তা চাইবেন সেভাবেই সহায়তা করবো।
তিনি আরও বলেন, ইসি চাচ্ছে সুন্দর ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ নেই। তারা (ইসি) অত্যন্ত সিরিয়াস। সশস্ত্র বাহিনী যদি মোতায়েন হয়, অবশ্যই সহায়তা করবো। এটাই ছিল প্রারম্ভিক আলোচনা। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আমরা অতীতের মতোই আবার ডেপ্লয় হবো। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন হবো।
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ কে এম হুমায়ুন কবীরসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন