বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
23 Nov 2024 11:23 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বহুকাঙ্খিত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস।বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে থেকে গাজায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হামাস।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। আর বহুল প্রত্যাশিত এই চুক্তির মধ্যস্থাকারী দেশ কাতার এ চুক্তি ধরে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধবিরতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এর মধ্যস্থতা করায় কাতার ও মিসরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির ফলে জিম্মিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারবেন। কিছু দিন যুদ্ধ বন্ধ থাকায় গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো সম্ভব হবে। এই চুক্তির সব শর্ত সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়িত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েল ও হামাসের এই চুক্তিকে চীনও স্বাগত জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ গাজায় মানবিক সংকট উপশম, সংঘাত প্রতিরোধ ও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে।
ইসরায়েল ও হামাসের এই চুক্তিকে সুসংবাদ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। কারণ যুদ্ধবিরতিকে ভিত্তি ধরেই টেকসই শান্তি প্রচেষ্টার রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। তিনি বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য এই যুদ্ধবিরতির সময় ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইউরোপীয় কমিশন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে সঠিক পথে যাওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে সৌদি আরব। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে সংঘাত বন্ধের পথ খুলে দেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
সূত্র: আল-জাজিরা