সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩
25 Nov 2024 10:13 am
নুরনবী রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ- কুচি-পাথর, ডালিয়ার বালু, স্টোন ডাস্ট ও সিমেন্টের মিশ্রণে তৈরি এট,এস ব্লকের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। মাটি পুড়িয়ে তৈরি লাল ইটের চেয়ে এটি পরিবেশবান্ধব। বর্তমানে আবাসন থেকে শুরু করে নানান নির্মাণ কাজে এখন এই এটি,এস ব্লকের চাহিদা তুঙ্গে।
দেশের ১০০টির বেশি কংক্রিট ব্লক তৈরির প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ টি,এস অন্যতম হয়ে ইটের বিকল্প হিসেবে চাহিদা মেটাচ্ছে 'এ টি,এস কন্সট্রাকশন।
পরিবেশ রক্ষায় আগামী ২০২৫ সাল থেকে লাল ইটের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। সরকারের সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করছে এটি,এস কন্সট্রাকশনের ব্লক।
এটি,এস কন্সট্রাকশন ঘুরে দেখা গেছে, একটি ফুল অটোমেটিক ব্লক প্রসেসিং ইউনিট চায়না থেকে আমদানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার মূল্য ৫৫ হাজার ডলার। বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা দেউলী ইউনিয়নের রহবল মহাসড়কের পূর্ব পাশে ১ একর জমির উপর এটি স্থাপন করা হয়েছে।
এখানে এখন তৈরি হচ্ছে 'এ টি,এস কন্সট্রাকশনের তুর্ষ-মেঘ, হলব্লক,এজেন্ট ব্লক,সলিড ব্লক, ইউনি ব্লকসহ ব্লকের যাবতীয় পণ্য। মেশিন অপারেট ছাড়া সব আইটেম তৈরি হচ্ছে হাতের স্পর্শ ছাড়া।
এ টি,এস কন্সট্রাকশনের ব্লক ব্যবহার করে নির্মাণের খরচ লাল ইটের চেয়ে তুলনামূলক কম। এটি এস ব্লকের দেয়ালের গাঁথুনিতে সিমেন্ট-বালু কম লাগে। এটি ব্যবহারে ভবনের ওজন কম হয় ও ভবন নির্মাণের সময়ও কম লাগে। কংক্রিটের হওয়ায় এটি মজবুত হয় এবং নির্মাণের স্থায়িত্ব বাড়ে। লাল ইটের মতো এতে নোনা ধরে কম। এছাড়া শব্দদূষণ ও তাপ পরিবহনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে ৪০ শতাংশ কম থাকে। ব্লকের তৈরি দেওয়ালে শুধু রং দিয়েই ফিনিশিং দেওয়া যায়। এতে খরচও কমে। বাইরের প্রাচীরে ব্লক গাঁথুনির মাধ্যমে বৈচিত্র্যও আনা যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি,এস কন্সট্রাকশন ব্লক আরও পরিবেশ-বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী তৈরির পরিকল্পনা করছে, যেন ২০২৫ সালের মধ্যে পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। সবাই এটিএস ব্লক ব্যবহারে আগ্রহী হলে দেশের জন্য পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সহজতর হবে। এছাড়া এটিএস ব্লকে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির।
এ বিষয়ে এটি,এস কন্সট্রাকশনের প্রোপাইটার সাজ্জাদ হোসেন টুটুল প্রতিবেদক নুরনবী রহমানকে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী- বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ হাজার ৫০০ কোটি পিস মাটি থেকে পোড়ানো ইট উৎপাদন হচ্ছে। এতে ১২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জমির আবাদ নষ্ট করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ৫৬ লাখ মেট্রিক টন কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। এতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। সরকার ঘোষণা করেছিল, ২০১৯-২০ সালে ১০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার; ২০২০-২১ সালে ২০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার; ২০২১-২২ সালে ৩০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার; ২০২২-২৩ সালে ৬০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার; ২০২৩-২৪ সালে ৮০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার এবং ২০২৪-২৫ সালে ১০০ শতাংশ ব্লকের ব্যবহার নিশ্চিত করবে। বর্তমানে আমরা আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়িয়েছি। সরকারের দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনে যে ভূমিকা আছে, সেখানে আমরা এটি,এস কন্সট্রাকশন ব্লক কাজ করে যাচ্ছি।