শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৩
25 Nov 2024 01:02 am
কারাবন্দী বিএনপি নেতা, আলেম–ওলামাসহ সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এসব দাবি জানান।
১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারের পদত্যাগও দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির। তিনি বলেছেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত, প্রতিনিধিত্বশীল ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছেন তাঁরা।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জুমার নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল থেকে উদ্যানে আসতে থাকেন সারা দেশ থেকে আসা দলটির নেতা–কর্মীরা। চরমোনাই পীর যে নির্দেশনা দেবেন, জীবন বাজি রেখে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতা–কর্মীরা।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যেমন জালিম কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তেমনি বাংলাদেশের মানুষও জালেমদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন রক্তপাত চায় না, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রক্ত নেওয়ার চেষ্টা করলেই দেশের অলিগলিতে রক্ত ঝরবে। তাঁদের দাবি মানা না হলে জনগণের যার যা আছে, তাই নিয়ে রাস্তায় নেমে দাবি আদায় করবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নুরুল হুদা ফরায়েজী, নায়েবে আমির আবদুল হক আজাদ, আবদুল আউয়াল, দলের মহাসচিব মাওলানা মো. ইউনুস আহমাদ প্রমুখ।